খুলনার টেলিকমিউনিকেশন ভবন ধ্বংসের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ তথা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি সাধন ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতার অভিযোগে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে খুলনা সদর থানা পুলিশ।
রোববার রাতে খুলনা সদর থানার এস আই শাহীন কবির বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, মো. হোসেন, মোঃ ইয়াসিন সানা, মোঃ মিরাজ হাওলাদার, শফিকুল আলম তুহিন, মোঃ ইসতিয়াক আহম্মেদ ইস্তি, মনিরুল হাসান বাপ্পি, মোঃ মাসুদ পারভেজ বাবু, হেলাল আহম্মেদ সুমন, মোঃ মাসুদ খান বাদল , এবাদুল হক রুবায়েত, মোঃ মতিউর রহমান বুলেট, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, মাহমুদ হাসান বিপ্লব , রবিউল ইসলাম রবি, মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি, মফিজুল সরদার, বেলাল হোসেন গাজি, হেলাল হোসেন গাজী, মোঃ ফরিদ মোল্যা, গাউস ওরফে কুলি গাউস, পাভেল, জামাল, ইয়াকুব, খাইরুজ্জামান সজিব, রাজ্জাক, মোঃ আসাদুজ্জামান মিঠু, মোঃ আলতাফ, রুম্মান, মোঃ জাহিদ, মোঃ রাজিব, জি এম তারেক, টুকু, কালু, আলাউদ্দিন, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, রাসেল, আরিফ, রমজান।
মামলার এজাহারে বাদী খুলনা থানার এসআই মোঃ শাহিন কবির (বিপি-৯৪২১২৩৮৭৯৮) উল্লেখ করেন, ৩ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৫৫মিনিটে আসামীরা বর্তমান সরকার উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে, টেলিকমিউনিকেশন ভবন, খুলনা (কেপিআই) ধ্বংসের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ তথা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি সাধন সহ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর কাজের ষড়যন্ত্র মূলক কাজের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়। যা ১৯৭৪ সনের The Special Power Act 15 (৩) ২৫- D The Explosive Substances Act,১৯০৮ এর ৪ ধারার অপরাধ করেছে।
খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৩টি ককটেলসহ তিনজনকে আটক করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তবে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, তিন ডিসেম্বর রাতে এ ধরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ‘গায়েবি’ ঘটনা উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।