রাজশাহী বিভাগীয় মালিক সমিতির ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা শেষে ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক পরিষদ সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বিপ্লব জানান, ১০ দফা দাবির অধিকাংশই প্রশাসন মেনে নেয়ায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে সব জেলায় বাস চলাচল শুরু করবে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর ১০ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগে যাত্রী পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়। গণপরিবহন ধর্মঘটের পর শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিএনজি, থ্রি হুইলার মালিকরাও ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
এদিকে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘণ্টা আগে ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে গণসমাবেশের ডাক দেয় দলটি। তবে চতুর্মুখী চাপের ভেতরেও কৌশলী হয়ে গণসমাবেশে ঢল নামে বিএনপি নেতাকর্মীদের।
১০ দফা দাবির মধ্যে ছিল- সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করতে হবে, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক বা আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইত্যাদি) চলাচল বন্ধ করতে হবে, জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস করতে হবে, করোনাকালে গাড়ি চলাচল না করায় সে সময়ে ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে, সব ধরনের সরকারি পাওনাদির (ট্যাক্স-টোকেন, ফিটনেস) অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স-সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতা নিরসন করতে হবে, পরিবহনের যাবতীয় কাগজ হালনাগাদ বা সঠিক থাকার পরও নানাবিধ পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে, উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি চলাচল দ্রুত বন্ধ করতে হবে, মহাসড়কে হাট-বাজার আয়োজন বা পরিচালনা করা যাবে না এবং চলমান হাটবাজার অতি দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে, যাত্রী ওঠানামার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রত্যেক জেলায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ও ট্রাক ওভারলোড বন্ধ করতে হবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড