বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আসন্ন নির্বাচনে দৃশ্যত দুটি প্যানেল। কাজী সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ এবং শেখ মো. আসলামের সমন্বয় পরিষদ। যদিও সমন্বয় পরিষদের প্যানেলে কোনো সভাপতি প্রার্থী নেই। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের জন্য ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন আসলাম। তার প্রতিপক্ষ সম্মিলিত পরিষদের আবদুস সালাম মুর্শেদী। দু’জনই সাবেক তারকা স্ট্রাইকার। আগামী ৩ অক্টোবর নির্বাচনে ভোটারদের নীরব বিপ্লব প্রত্যাশা করছেন সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীরা।
ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি বিভাগ ও জেলা ঘুরেছেন সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীরা। এখন ঢাকার ক্লাব ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। শুক্রবার ছুটির দিন তারা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। আজ ঢাকার ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সভা রয়েছে তাদের। জানা গেছে, বাসাবো ও মুগদা অঞ্চলের ক্লাবগুলোর কাছে গিয়ে ভোট চেয়েছেন আসলাম, শেখ মো. মারুফ হাসানরা। সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি প্রার্থী শেখ মো. মারুফ হাসান বলেন, ‘আমরা ৩ অক্টোবরের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করি, ওইদিন নীরব ভোট বিপ্লব হবে। আমরা জয়ী হবই।’
ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখেন জেলা ও বিভাগের ভোটাররা। তাই তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের (ফোরাম) নেতাদের হাতে। সেই ফোরামের মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু এবার সমন্বয় পরিষদের পক্ষে। তিনি বলেন, ‘গত ১২ বছর আমরা কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্ব দেখেছি। আমাদের প্রাণের খেলা ফুটবলে কোনো উন্নতি করতে পারেননি তিনি। এবার আমরা পরিবর্তন চাই। সমন্বয় পরিষদে অনেক যোগ্য লোক রয়েছেন। তারা নির্বাচিত হলে ফুটবলের উন্নয়নে অনেক কিছু করতে পারবেন।’ মহিউদ্দিন আহমেদ মহী বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী বিধিমালা মেনেই চলছি। শুধু নির্বাচনবিধি ভাঙা নয়, প্রতিপক্ষ প্যানেলের নেতৃত্বে অনেক কিছুই ঘটছে। আশা করি, ভোটাররা এর জবাব দেবেন ৩ অক্টোবর।’
খুলনা গেজেট/এএমআর