বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৌখিক ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উক্ত অবৈধ স্থাপনা গুলোর সীমানা নির্ধারণ করে লাল চিহ্ন ও লাল পতাকা টাটানো হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি উচ্ছেদ ঠেকাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। অপরদিকে, ওই বাজারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খাল খননের জন্য এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত আবেদনে জানা গেছে, গত রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার কলিগঞ্জ বাজারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য সরকারী জমির সীমানা নির্ধারনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেদবতী মিস্ত্রী, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার, চেইনম্যানসহ আরও অনেকে স্থানীয় জনসাধারনের সম্মুখে সরকারী জমির সীমানা পরিমাপ করে লাল চিহ্ন দিয়ে লাল পতাকা গেড়ে দেন। এ সময় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার পাঁকা ইমারত ও ভবন ওই লাল চিহ্নের মধ্যে পড়ে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগকারী মোঃ জালাল, মোঃ ইব্রাহীম বাওয়ালী, মোঃ ইয়াছিন বাওয়ালী, মোঃ ই¯্রাফিল, মোঃ লোকমান মোল্লা ও মোঃ হাবিবুল্লাহ বাওয়ালী বলেন, ‘সরকারি জায়গায় লাল চিহ্নের মধ্যে প্রভাবশালী নেতা মল্লিক রেজাউল করিম, ধনাঢ্য মোঃ কবির মল্লিক, মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ বেলায়েত সরদারসহ অনেকের দোকান ও পাঁকা ইমারত পড়েছে। তাঁরা অবৈধ স্থাপনা ঠেকাতে বিভিন্ন মহল ও দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করছে। আমরা চাই সরকারি জায়গা অবমুক্ত করা হোক।’
এ ব্যাপারে সন্তোষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী মল্লিক রেজাউল করিম বলেন, ‘লাল চিহ্নের মধ্যে আমার বিআরএস রেকর্ডীয় ১৪ শতক জমি রয়েছে। যার দাগ নং-৮৪৭ ও ৮৪৮, খতিয়ান নং-১৮৯, মৌজা-কিসমত পিঁপড়াডাঙ্গা। কতিপয় ব্যাক্তি আমার ক্ষতির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।’
চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা মুজিবর রহমান শামীম বলেন, ‘ মল্লিক রেজাউল করিমসহ অন্য ব্যাক্তিদের পাকা ইমারত ও ভবন গুলো খালের মধ্যে। এ গুলো অবৈধ স্থাপনা। এগুলো উচ্ছেদ পূর্বক খাল খনন করলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে। এখানে পূর্বেও খাল ছিল। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি দ্রæত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খাল খনন করা হোক।’
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফজুন্নেছা বলেন, কালিগঞ্জ বাজারে সরকারী সীমানা নির্ধারন করে লাল নিশান গেড়ে দেওয়া হয়েছে। দোকান ও বিল্ডিং মালিকদের অবৈধ স্থাপনা দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে। এক সপ্তাহর মধ্যে না সরালে সরকারীভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।