খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  খাগড়াছড়ির দীঘিনালাতে যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
  এইচএসসি পরীক্ষা ফল আজ, থাকছে না আনুষ্ঠানিকতা
খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি

তরমুজ চাষের জন্য দাকোপ ও বটিয়াঘাটাকে কৃষি অর্থনৈতিক জোন ঘোষণার দা‌বি

নিজস্ব প্রতিবেদক

তরমুজ চাষের জন্য কৃষি অর্থনৈতিক জোন ঘোষণারসহ তরমুজ চাষ ও বাজারজাতকরণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন মৈত্রী কৃষক ফেডারেশন ও লোকজ-এ নেতৃত্বে দাকোপ-বটিয়াঘাটা অঞ্চলের কৃষকরা। আজ সোমবার (২৮ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিটি খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: সাদিকুর রহমান খান-এর হাতে তুলে দেয়া হয়।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় কৃষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মল, সাধারণ সম্পাদক বিভাষ মল, সহসাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান লাভলু, প্রসেন রায়, বটিয়াঘাটা উপজেলা পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম শেখ, দাকোপ-বাজুয়ার তরমুজ চাষি সিদ্ধার্থ চৌকিদার, লোকজ-এর সমন্বয়কারী পলাশ দাশ, আকবর হোসেন ও মিলন কান্তি মল প্রমূখ।

এসময় বক্তরা তরমুজ চাষ, পরিবহন ও বিপননের ক্ষেত্রে যে সকল সমস্যা রয়েছে তা তুলে ধরে খুলনার দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলাকে তরমুজ চাষের জন্য কৃষি অর্থনৈতিক জোন ঘোষণা করা, কীটনাশক কম লাগে এমন উচ্চফলনশীল ইনব্রিড বীজ উদ্ভাবন করে বাজারে বীজের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা, নদী-খাল লিজ/অবুমক্ত ও খনন করে চাষের জন্য সেচের ব্যবস্থা করা, প্রকৃত তজমুজ চাষীদের তালিকা করে প্রশিক্ষণ প্রদান, অভিজ্ঞ কৃষক ও কৃষিবিদদের নিয়ে কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে তরমুজ চাষের গাইড লাইন তৈরি, প্রকৃত চাষীদের বিনাসুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা, সকল ধরণের বীজের ন্যায্য দাম নির্ধারণ করতে হবে এবং ন্যায্যমূল্যে যাতে কীটনাশক বিক্রি হয় তার ব্যবস্থা, উপজেলা ভিত্তিক সঠিকভাবে চাহিদা নিরুপন করে ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত সার সরবরাহ এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি হচ্ছে কী না তা কঠোরভাবে তদারকি করা, তরমুজ চাষের আগে সরকারী উদ্যোগে মাঠে এসে মাটি পরীক্ষা ও সার সুপারিশ করার ব্যবস্থা, স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তরমুজ বিক্রির জন্য আড়ত স্থাপন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঘাট ও ট্রাক ভাড়া নির্ধারণ ও তা কার্যকর হচ্ছে কী না তা তদারকি করা, তরমুজ পরিবহন ও বিপনন ব্যবস্থাকে মধ্যসত্ত্বভোগীদের হাত থেকে রক্ষা করা এবং সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কৃষক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম/কমিটি তৈরি করে উপরোক্ত বিষয়াবলী কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করার দাবি তুলে ধরেন।

এছাড়া তরমুজের সঠিক দাম পেলে এই অঞ্চলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন করে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা যোগ হতে পারতো বলে বক্তরা মতামত প্রকাশ করেন।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!