খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন বর্জন করেছে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ। শনিবার সন্ধ্যায় আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে তারা লিখিত আকারে বর্জনের বিষয়টি জানান। এর আগে নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্যও পদত্যাগ করেছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন রোববার যথারীতি নির্বাচন হবে।
সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী একেএম শহীদুল আলম খুলনা গেজেটকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে, নির্বাচন চলাকালীন প্রতিপক্ষ পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ নির্বাচন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাছাড়া তাকে ৫ বারের মতো প্রতিপক্ষের সদস্যদের আচারণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়দি জানানো সত্বেও তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। শনিবার দুপুরে এ বিষয়ে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনেও সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। দুপুরে চেয়ারম্যানকে জানালেও তিনি এর কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি। সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের কাছে তারা নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি লিখিত আকারে জানান। এ নির্বাচনে তারা অংশ নিবেন না বলে তিনি এ প্রতিবেদককে আরও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ
এদিকে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনের সদস্য এফ এম আক্তারুজ্জামানও পদত্যাগ করেছেন। তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। তিনি জোহরের নামাজ পড়ে নির্বাচন কমিশনের ক্লার্ক তপনের কাছে পদত্যাগ পত্র পৌঁছে দেন। কমিশনের চেয়ারম্যান না থাকায় তপনের কাছে চেয়ারম্যন বরাবর অনুলিপি দিয়ে বাড়ি চলে যান।
নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে জানতে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনের চেয়াম্যান এড. মোল্লা লিয়াকত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন আর কিছু করার নেই। রোববার যথাসময়ে নির্বাচন শুরু হয়ে বিকেল ৩ টার দিকে শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে পরাজয়ের বিষয়টি তারা আগে থেকে বুঝতে পেরেছেন। গত কয়েকদিন ধরে তারা নানা তালবাহানা শুরু করেছেন। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আর কোন অফিসিয়ালি সুযোগ নেই।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনে সাইফুল-তারার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও খোকন-শহীদের নেতৃত্বে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল।