ম্যাচের শুরু থেকে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিলো ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে খেলতে আসা কানাডা। কাগজে-কলমের সব ব্যবধান ঘুচিয়ে চাপ বাড়াল বেলজিয়ামের উপর। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আর নেয়া হলো না। বরং পাল্টা আক্রমণে গোল আদায় করে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। আর সেই গোলেই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে হ্যাজার্ড-ডি ব্রুইনারা।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্বকাপের ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় শুরু হয় ম্যাচটি। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন বেলজিয়ামের বাতশুয়াই।
শক্তিতে দুই দলের মাঝে পার্থক্য অনেক, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩৯ ধাপ এগিয়ে বেলজিয়াম। কিন্তু লড়াইটা যখন বিশ্ব সেরার মঞ্চে, তখন ওসব সংখ্যার হিসেবে যেন কিছু যায় আসে না।
অন্তত ম্যাচের শুরু থেকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা বেলজিয়ামের ওপর ক্রমেই চাপ বাড়ায় কানাডা। বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে আধিপত্য বিরাজ করে তারা। ম্যাচের দশম মিনিটে এগিয়েও যাওয়ার সুযোগও পেয়েছিল। ডি-বক্সে হাত দিয়ে বল ছুঁয়ে হলুদ কার্ড দেখেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ইয়ানিক কারাসকো আর পেনাল্টি পায় কানাডা। কিন্তু তাদের সবচেয়ে বড় তারকা আলফুঁস ডেভিস নেন দুর্বল শট, ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া।
শুরুর বিবর্ণতা কাটিয়ে কানাডার রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে হ্যাজার্ড-ডি ব্রুইনারা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোনভাবেই। অবশেষে প্রথমার্ধের ৪৪তম মিনিটে সেই গেরু কাটেন বাতশুয়াই। মাঝমাঠের অনেক আগে থেকে উঁচু করে থ্রু বল বাড়ান টবি আল্ডারভাইরেল্ড। আর প্রতিপক্ষের দুজনের মধ্যে দিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোলটি করেন ফেনেরবাচের ফরোয়ার্ড বাতশুয়াই।
একমাত্র গোলটি ছাড়া প্রথমার্ধে কানাডার দাপট কতটা ছিল, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে পরিসংখ্যানে। ৪৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে ১৪টি শট নেয় তারা, বিপরীতে বেলজিয়ামের মাত্র চারটি। লক্ষ্যে অবশ্য থাকে দুই দলেরই সমান দুটি করে।
বিরতি থেকে ফিরে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে কানাডা। আর বেলজিয়াম চেষ্টা চালায় লিড বাড়াতে। কিন্তু আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা জমে উঠলেও আর কোনও গোল না হওয়ায় এক গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বেলজিয়াম।