অধ্যাপক অসিতবরণ ঘোষ সমাজকে নাড়া দিতে পারতেন তাইতো তিনি এত স্মরনীয় । তিনি বেঁচে থাকলে তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতো। যা দিয়ে সমাজ উপকৃত হতো। তিনি ছিলেন শিককের শিক্ষক। তার মতো পন্ডিত লোক হারিয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। তার ধর্মীয় অনুভূতি থাকলেও মানুষকে ভালবাসতেন। এভাবে বললেন অধ্যাপক অসিতবরণ ঘোষের শোকসভায় সাবেক মন্ত্রী ও খুলনা -৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে বরেণ্য শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, চিন্তাবিদ, স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের লেখক, অরোতীর্থ বিদ্যাপিঠের পরিচালক অধ্যাপক অসিতবরণ ঘোষের স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শোকসভা প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক ও সমাজসেবক মাসুদ মাহমুদ। সভা পরিচালনা করেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও একুশে টেলিভিশনের বিভাগীয় প্রতিনিধি সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন।
সন্মনিত অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও খুলনা -৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্ঠা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনন্ট মাধুরী বিশ্বাস, সহকারি সুপারিনটেনন্টে বিমল কৃষ্ণ সরকার, খুলনা সদর টিআরসি ইনট্রাক্টর জগজ্জীবন বিশ্বাস, গুনীজন স্মৃতি পরিষদের কোষাধ্যক্ষ বিধান চন্দ্র রায়, ডিইও নাজমুননাহার ডালিয়া, মোঃ হাফিজ আল আমিন, হুমায়ুন কবীর, মোঃ সোহেল রানা, এস এম শামছুল আলম, ফারজানা ইয়াসমীন, সুপা দাস, চন্দন কুমার দাস, মনিকা বিশ্বাস, মিতা সান, নুরুন্নাহার খাতুন, তানজীয়া সুলতানা প্রমুখ।
সহকর্মী হাফিজুর রহমান বলেন, তিনি ছিলেন সদালাপি। সমাজ পাল্টাতে তিনি অক্লান্ত কাজ করেছে। তার কাছে ছিল মানব ধর্মই বড়। সঠিক পরিকল্পনা করতে পারতেন তিনি। যে কাজটি করতেন সেই কাজটি মন দিয়ে করতেন।
বক্তারা বলেন, তিনি যে দান করতেন তা অন্য কাউকে বলতেন না, সমাজে অনেক মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে গেছেন। মানুষের সাথে বন্ধু সুলভ ভাবে মিশতেন।
শিশু প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, তাদের পচ্ছন্দ অপচ্ছন্দের প্রতি গুরুত্ব দিতে অভিাবকদের বলতেন। ভালভাবে গাছ রোপন করতে সেই গাছে ভাল ফল হবেই। শুধু লক্ষ্যে রাখতে হবে পরিচর্যার দিকে। পরিচর্যা করতে পারলে আজ হোক কাল হোক ভাল ফল দেবেই।