এবার আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে নিজের বাড়ি ও প্রাচির রাঙিয়েছেন সোনা মিয়া নামে এক কৃষক। সোনামিয়া যশোরের চৌগাছা ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিবাদমান সাত গ্রামের অন্যতম কমলাপুর পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
চৌগাছা ও মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী সাত গ্রাম। এই সাত গ্রাম একবার চৌগাছা উপজেলার মধ্যে আসে, আবার মহেশপুর উপজেলায় যায়। বর্তমানে গ্রামগুলির শিক্ষা ব্যবস্থা চৌগাছা উপজেলা শিক্ষা অফিসের অধীন। অন্যদিকে ভূমিব্যবস্থাপনা মহেশপুর উপজেলায়। গ্রামগুলির মানুষদের চলাচল শুধুমাত্র ভূমি ব্যবস্থাপনা ছাড়া সবই চৌগাছা উপজেলায়। বর্তমানে গ্রামগুলোর ভূমি ব্যবস্থাপনাও চৌগাছার মধ্যে আসাা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। গ্রামগুলোর অধিকাংশ বাসিন্দারা চান চৌগাছার মধ্যে স্থায়ীভাবে চলে আসুক।
এই সাত গ্রামের অন্যতম গ্রাম কমলাপুর। গ্রামে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গ্রামের বাসিন্দারা বরাবরই ক্রীড়া প্রিয়। এই গ্রামেরই বাসিন্দা কৃষক সোনা মিয়া। ছোট বেলা থেকেই তিনি ক্রীড়ামোদি এবং বিশ্ব ফুটবলে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। ২০০২ বিশ্বকাপের সময় থেকে নিজের বাড়িতে ওড়ান আর্জেন্টিনার পতাকা। এবার নিজের বাড়িটি রাঙিয়েছেন আর্জেন্টিনার রঙে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন সোনামিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তিনি নিজের একতলা ফ্লাট বাড়ি, বাড়ির প্রধান প্রবেশ গেইট, বাড়ির প্রাচির এমনকি রান্না ঘর ও পাকা টয়লেট সবই আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রং করেছেন। বাড়ির প্রবেশ ফটকের উপরে আর্জেন্টিনা ফুটবল টিমের ছবিসহ প্যানাসাইন, যাতে বিশ^কাপ ট্রফি নিচ্ছেন যুগের অন্যতম সেরা তারকা লিওলেন মেসি। পাশেই একটি বাঁশে আর্জেন্টিনার পতাকা উড়ছে। এসম আর্জেন্টিনা ভক্ত সোনামিয়া বলেন, সামর্থ থাকলে কাতারে গিয়ে আর্জেন্টিনার অন্তত একটি ম্যাচ দেখতেন তিনি। সামর্থ না থাকায় নিজের বাড়ি আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রাঙিয়ে দুধের সাধ ঘোলে মেটাচ্ছেন। তিনি আশা করছেন দীর্ঘদিন বিশ্বকাপ না জিতলেও আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপ জিতবে। সোনা মিয়া জানান, গ্রামসহ প্রতিবেশিরা তার এই আর্জেন্টিনার রঙে রাঙানো বাড়ি দেখতে আসছে।