ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ৯ মাসের মধ্যেও সেসব দেশ থেকে গম এসেছে। সরকারী খাদ্য গুদামগুলোতে গমের কোন সংকট নেই। তারপরও লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে। এ মাসের রাশিয়া থেকে গম বোঝাই আরও দুটো জাহাজ মোংলা বন্দরে আসছে। আমদানিকরা গমের পরিমাণ হবে ৪১ হাজার মে.ট.।
করোনা পরবর্তী সময় বিদেশ থেকে গম আমদানির পরিমাণ কমে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেন থেকে গমবাহী জাহাজ গত ৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গম এ অঞ্চলে আসা শুরু হয়েছে।
খাদ্য চলাচল ও সংরক্ষণ বিভাগ সূত্র জানায়, এবছর ভারত থেকে ২১ হাজার মে.ট. গম নিয়ে এমভি ইমানুয়েল সি নামক জাহাজ , একই দেশ থেকে এমবি বাল্কমানারা নামক জাহাজ যোগে ২১ হাজার মে.ট. গম এ বন্দরে এসে পৌঁছায়। পাশাপাশি বুলগেরিয়া থেকে এমবি এসিলিস-এস নামের জাহাজ ২১ হাজার মে.ট. গম, রাশিয়া থেকে এমবি সীলাখ-২ নামক জাহাজ ২১ হাজার ১৩৮ মে.ট. গম এবং এমবি লীলা নামক জাহাজ ২২ হাজার মে.ট. গম এ বন্দরে খালাস করে।
চলাচল ও সংরক্ষক নিয়ন্ত্রক (খাদ্য) শেখ মশিয়ার রহমান জানান, এ মাসে রাশিয়া থেকে ১৯ হাজার ৭৬০ মে.ট. গম নিয়ে এমভি বেরুদা নামক জাহাজ ও ২১ হাজার ৭৮৯ মে.ট. গম নিয়ে এমভি ইন্স কারাডেনিন্স নামক জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়বে। আগামী মাসেও বিভিন্ন দেশ থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে একাধিক জাহাজ আসবে। সরকারী খাদ্য গুদাম থেকে আমদানিকৃত গম ওএমএস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজেবি, নেভি, আনসার ও জেলখানায় সরবরাহ করা হবে।
বড় বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, ভারত ও রাশিয়ার গম আগস্ট মাসে প্রতি কেজি ৫০ টাকা বিক্রি হলেও আজ রবিবার ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারে গমের সরবরাহ বেড়েছে। হোটেল রেস্তোরায় পরেটা, লুচি, পুরী, সিঙ্গাড়ার দাম কমেনি।
গত ৬ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর খুলনার পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ আগস্ট স্থানীয় বাজারে আটা ৫০-৫২ টাকা, ময়দা ৭০-৭৫ টাকা এবং ৬ সেপ্টেম্বর আটা ৫৬-৬৪ টাকা এবং ময়দা ৫৬-৬৮ টাকা দরে বিক্রি হয়।