২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের কথা মনে আছে? ম্যাচের শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৯ রান। ব্যাটিং প্রান্তে ছিলেন ক্যারিবিয়ান কার্লোস ব্রাথওয়েট, আর বোলিংয়ে ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। এমন ম্যাচে টানা চার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ড্যারেন সামির দল। আর দুঃখ ভরা কষ্টে পড়েছিল ইংলিশরা।
তবে বিশ্বকাপ হারের সেই শোক শক্তিতে পরিনত হতে বেশি সময় লাগেনি বেন স্টোকসের। শিরোপা খোয়ানোর ছয় বছরের মাথায় মেলবোর্নে পাকিস্তানের দেওয়া ১৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। যার সুবাদের দলকে ৫ উইকেটের জয় পাইয়ে দিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই অলরাউন্ডার। তার ব্যাটিংয়ে ভর করে ২০১০ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতল ইংল্যান্ড।
নিজে ম্যাচ জেতালেও সতীর্থদের সব কৃতিত্ব দিয়েছেন স্টোকস। ম্যাচ শেষে স্টোকস বলেন, ‘ফাইনালের মঞ্চে যখন আপনি রান তাড়া করবেন… তখন আসলে ম্যাচে এর আগের কষ্টের কথা আপনি হয়তো ভুলে যাবেন। তবে যেভাবে আদিল রশিদ এবং স্যাম কারেন বোলিং করেছেন, আসলে ম্যাচটি তারাই আমাদের জিতিয়ে দিয়েছেন। এটা একটা ট্রিকি উইকেট, এখানে প্রতিপক্ষকে ১৩০ রানের মধ্যে আটকে দেওয়ার জন্য বোলারদের ক্রেডিট দিতেই হবে।’
এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে হার (আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে) আমাদের মাথায় ছিল। তবে আমরা এটিকে পেছনে রেখেই সামনে এগিয়েছি। তবে আয়ারল্যান্ডকে ক্রেডিট দিতে হয় আমাদের হারানোর জন্য। সেরা দল সবসময় ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। পরবর্তীতে একই ভুল আর করতে চায় না।আজকের সন্ধ্যা আমাদের জন্য অসাধারণ। বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজ দলকে প্রতিনিধিত্ব করা অভাবনীয় অনুভূতি।’
তবে ফাইনালের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাচে তিন উইকেট পাওয়া স্যাম কুরান। ম্যাচসেরার পুরষ্কার হাতে নিয়ে কুরান বলেন, ‘আমি মনে করি না আমার এটা পাওয়া উচিত। আমি মনে করি ফাইনালের মঞ্চে স্টোকস যেভাবে খেলেছে, ফিফটি পেয়েছে এবং সে অনেকবার আমাদের জন্য জয় এনে দিয়েছেন। আমি মনে করি তারই এটা পাওয়া উচিত।’