২০১৫ সালের পর আর ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেনি ভারত। প্রতি টুর্নামেন্টেই ফেভারিট হয়ে নামলেও ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর কোনো বিশ্ব আসরের শিরোপা জিততে পারেনি কোহলি-রোহিতরা।
অন্যদিকে, ওয়ানডে ফরম্যাটে বর্তমান বিশ্বসেরা দল ইংল্যান্ড সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে ২০১৬ সালে। দুই দলই শেষ করতে চায় অপেক্ষার পালা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও ইংল্যান্ড। অ্যাডেলেইডে ম্যাচ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায়।
দুর্দান্ত প্রতাপ দেখিয়েই সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত। গ্রুপ-টুতে ৫ ম্যাচে মাত্র একটিতে হেরে চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ চারে খেলবে তারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে গত জুলাইয়ে দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফল।
ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত সিরিজ ভারত ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয়। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা অবশ্য ইংল্যান্ডকে বিপজ্জনক দল মেনেই মাঠে নামছেন।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে সত্যি ভালো ক্রিকেট খেলেছে ইংল্যান্ড। এ জন্যই তারা সেমিতে। এ ম্যাচ জিততে আমাদের সেরাটা দিতে হবে।
‘ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয় অবশ্যই বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে। কারণ ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংলিশদের হারানো স্বাভাবিকভাবে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সেই চ্যালেঞ্জটি ভালভাবেই উৎরে গেছি।’
পুরো উপমহাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে আগ্রহী। তেমনটা হতে হলে ইংল্যান্ডকে ভারতের কাছে হারতে হবে। ভারতকে হারিয়ে উপমহাদেশের ‘পার্টি’ নষ্ট করতে মুখিয়ে আছেন বলে জানান ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার।
তিনি বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ হোক এটা আমরা চাই না। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যে আমরা পৌঁছে গেছি। সবাই সেমিফাইনাল নিয়ে উচ্ছ্বসিত। ভারতের মতো দারুণ শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতে আমরা মুখিয়ে আছি।
‘আমরা যেভাবে খেলি তেমনটা খেলতে পারলে আমাদের জয়ের সুযোগ আছে। আমরা নিজেদের পরিকল্পনায় ঠিকমতো কাজে লাগাতে চাই।’
সেমিফাইনালে ভারত পূর্ণশক্তির দল নিয়েই নামছে। মঙ্গলবার অনুশীলনে রোহিত শর্মা মাথায় চোট পেলেও সেটা গুরুতর নয় ও বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে নামছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের পেইসার মার্ক উড ও ব্যাটার ডাউয়িড মালান ভুগছেন চোটে। উড সুস্থ না হলে তার জায়গায় বাড়তি একজন ব্যাটার খেলাবে ইংল্যান্ড। সে ক্ষেত্রে ডাক পেতে পারেন ফিল সল্ট।