খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা এক সপ্তাহ ছুটির দাবিতে সোমবার সকাল থেকে সকল ক্লাস বর্জন করেছেন। এ ঘটনার পর সকাল থেকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ডিপার্টমেন্টের সামনে অবস্থান নিয়ে এবং খেলাধুলা করছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সোমবার বিকেলে বৈঠকের পর মঙ্গলবার থেকে তারা আবারও ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিক্ষর্থীদের দাবির বিষয়ে মঙ্গলবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের একটা সেমিস্টারের মাঝখানে ব্রেক দেয়। ১৩ সপ্তাহের সেমিস্টার থাকলে ৬ বা ৭ সপ্তাহ পরে একটা ব্রেক দেয়। করোনায় পিছিয়ে যাওয়ার কারণে এক সেমিস্টার ১৩ সপ্তাহের পরিবর্তে ১১ সপ্তাহ করেছে। স্যার আমাদের কথা চিন্তায় রেখেই হয়তো করেছে। এবার চার সপ্তাহ পরে গতমাসের শুরুতে পূজার এক সপ্তাহের মতো বন্ধ পেয়েছিলাম। এজন্য সেমিস্টারের মাঝখানে মিডটার্ম ব্রেক সেটা আর দিচ্ছে না। মিডটার্মে সাত দিন ছুটি পাওয়া যায়। ছুটি না পেলে আমাদের জন্য একটু প্রেসার হয়ে যায়। অনেকে মিডটার্মের ছুটিতে বাড়িতে যায়, একটু রিল্যাক্সেরও প্রয়োজন আছে। কিন্ত ছুটি না দেওয়ার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে যাতে ছুটিটা দেওয়া হয়। আজ সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে। গেট দিয়ে কোনো বাস প্রবেশ করতে পারছে না, বা যেতেও দেওয়া হচ্ছে না। কাউকে ক্লাসে ও ল্যাবে যেতে দেওয়া হয়নি। তবে শিক্ষকরা যাতায়াত করছেন। ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আমরা ক্লাসে ফিরবো।
কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, আমরা ছাত্রদের সঙ্গে বসেছিলাম। আগামীকাল থেকে তারা আবার ক্লাসে ফিরে আসবে। আর এ বিষয়ে মঙ্গলবার বেলা ৩টায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভা হবে।
কুয়েটের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞা বলেন, শিক্ষার্থীরা মিডটার্মের সাত দিনের ছুটির দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে, খুব শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।