সিলেটে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল নিহতের প্রতিবাদে বিএনপি-ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
মিছিল চলাকালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার রাত ৯টার দিকে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বিএনপি ও ছাত্রদলের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।
সিলেট জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, মিছিলটি নগরীর চৌহাট্টা অভিমুখে যাত্রাপথে কয়েক জায়গায় গাড়ির টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভ মিছিল রিকাবীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় রিকাবীবাজার এলাকার কিছু দোকানের শাটার ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়।
আ ফ ম কামাল হত্যার প্রতিবাদে সিলেট নগরীর মধুশহীদ এলাকায় বিএনপি ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিএনপি নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল কিছু জায়গায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
জানতে চাইলে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভরতদের আমরা আশ্বস্ত করেছি যে কাল সকালে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করব।’
‘তারপরও কারা মিছিল করেছে তা আমাদের জানা নেই। সেই মিছিলে কোনো সংঘর্ষ হয়ে থাকলেও, আমরা জানি না,’ যোগ করেন তিনি।
এদিকে বিএনপির প্রতিবাদ মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি সিলেট আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের।
পুলিশ বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার পর রিকাবীবাজার এলাকায় বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রাত ১২টার দিকে মিছিল পরবর্তী সভায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, ‘জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। আজ রাতের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার না করা হলে ১৯ তারিখের বিএনপির গণসমাবেশ প্রতিহত করা হবে।’
পুলিশ জানায়, রোববার রাত ৯টার দিকে আ ফ ম কামাল নিজের প্রাইভেটকারে আম্বরখানা বড়বাজার গলিতে প্রবেশ করেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল তার গাড়ির গতিরোধ করে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।