জেলার তেরখাদা উপজেলার দক্ষিণ কুশলা এলাকায় পৈত্রিক বসতভিটা জবর দখলের চেষ্টায় কিশোরী কণ্যাকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে ভূমিদস্যুরা। পুত্রসন্তান ও নিকট আত্মীয় না থাকায় ঠুনকো অযুহাতে প্রায়ই বয়োবৃদ্ধ অলিদ মোল্যাকে মারপিট করে তারা। প্রতিবেশীর অত্যাচারে বারবার থানায় যেয়েও আইনের আশ্রয় পাননি তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন তেরখাদার দক্ষিণ কুশলা গ্রামের মৃত হালিম মোল্যার ছেলে অলিদ মোল্যা। তারপক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার জামাতা মোঃ সরোয়ার হোসাইন।
এসব ঘটনায় বৃহস্পতিবার খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত ‘চ’ (১৩) অঞ্চলে মামলা করেছেন অলিদ মোল্যা। এতে ৮জনকে আসামী করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, স্থানীয় মৃত মাজেদ খানের ছেলে সেলিম খাঁ(৪৫), মৃত জালাল উদ্দিন খাঁর ছেলে আলী খাঁ (৫০), আবুল খাঁর ছেলে আকিজুর খাঁ(৪০), মৃত নওশের খাঁর ছেলে টিটো খাঁ(৩০), লোয়ার খাঁর ছেলে মিজান খাঁ ও বাবলু খাঁ, মৃত ইউছুফ খাঁর ছেলে নশু খাঁ দীর্ঘদিন ঠুনকো অযুহাতে অলিদ মোল্যার সাথে ঝগড়া বাঁধিয়ে তাকে ও তার স্ত্রী-কণ্যাকে বেদম মারপিট করে। প্রথমে বুঝতে না পারলেও, পরে বুঝতে পারেন ওই প্রতিবেশীরা তার পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখলের জন্যেই নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। এসবের প্রতিকার পেতে একাধিকার থানায় গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ।
সর্বশেষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে কুশলা বাজারে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে ওরা। কারণ জানতে চাইলে বেধড়ক মারপিট করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরে আমার মেয়ে আশামনি ও স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে। এসময়ে আমাকে ও আমার মেয়েকে জীবনে শেষ করে দেবার হুমকি দেয়। এঘটনায়ও থানায় গেলে মামলা নেয়নি। বরং মামলা করতে গেছি শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়ে আশামনিকে ধর্ষণ করে এলাকায় বদনাম রটিয়ে এলাকা ছাড়া করার চক্রান্ত করছে ভূমিদস্যুরা। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে কিশোরী কণ্যাদের সম্ভ্রম ও মাথা গোঁজারঠাঁই পৈত্রিক বসতভিটা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এআইএন