টান টান উত্তেজনার ম্যাচের শেষ মুহূর্তে নাটক। জিতে গিয়েও যে তখনো জেতা হয়নি বাংলাদেশের। বল গ্লাভসে নিয়ে স্টাম্প ভাঙলেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। সঙ্গে সঙ্গে উদযাপনে মাতোয়ারা টাইগার শিবির। নিজেদের মধ্যে হাত মিলিয়ে মাঠের বাইরেও চলে যান দুই দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু তখনই দেখা গেল নাটকীয়তা! নিয়ম মাফিক ‘নো’ বল পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গেল, আসলে আউটই হননি ব্যাটসম্যান। কারণ, বলটি ছিল ‘নো’!
সেই সঙ্গে জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ডে এক রান যোগ করে দুই দলকে আবারো মাঠে নামিয়ে আনা হয় এবং ফ্রি-হিট দিয়ে শেষ বলটি করতে বলা হয়। শেষ বলে মুজারাবানি কোনও রান করতে না পারায় রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচে বাংলাদেশের করা ১৫০ রানের জবাব দিতে নেমে ১৪৭ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ফলে বাংলাদেশ পেয়ে যায় ৩ রানের নাটকীয় জয়।
এমসিসিতে ক্রিকেট আইনের ২৭.৩.১ ধারায় বলা আছে, স্ট্রাইক প্রান্তে স্ট্রাইকারের ব্যাট বা গায়ে লাগা, স্ট্রাইক প্রান্তের উইকেট অতিক্রম করা বা স্ট্রাইক রান নেওয়ার চেষ্টা করার আগপর্যন্ত উইকেটকিপারকে স্টাম্পের পেছনে থাকতে হবে।
শান্তর ফিফটি আর তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজ ও মোসাদ্দেকের ভালো বোলিং ছাপিয়ে ম্যাচ শেষে আলোচনার কেন্দ্রে সেই নো বল নাটক! ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর সঞ্চালক মাইক আথারটন যেমন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন, বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও ম্যাচসেরা তাসিকনের তিনজনকেই প্রশ্ন করেছেন, এমন কাণ্ড আমি কখনো দেখিনি, তুমি কি দেখেছ?
সোহানকে আগেই সর্তক করেছিলেন জানিয়ে টাইগার অধিনায়ক সাকিব এই প্রশ্নের উত্তরে হাসি দিয়ে বলেন, রিচার্ড এনগারাভার আউটের সময় আমি ওকে বলেছিলাম সতর্ক থাকতে, কারণ ওর হাত স্টাম্পের কাছাকাছি চলে এসেছিল। ভাবা যায় না, সেটাই পরে হলো। আমি বলব দারুণ এক ম্যাচ হয়েছে। যারা খেলা দেখতে এসেছেন তাদের জন্যও দারুণ ছিল।
এভাবে আবার ফিরে আসার পর পুরো ঘটনা কীভাবে সামলেছেন সাকিব, সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক আথারটনের এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, আমি মোসাদ্দেকের সঙ্গে কথা বলেছি। সে আমাকে বলেছে, উদ্বেগের কিছু নেই। আমি ঠিক আছি এবং সবকিছু সামলে নেব। তার কথায় আমি শান্ত হয়েছি, স্বস্তি পেয়েছি।
এই জয়ে তিন ম্যাচ শেষে সুপার টুয়েলভের গ্রুপ-২ এ দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে বাংলাদেশ। ভারতের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান ৪ পয়েন্ট তাদের।