নানা বাধা উপেক্ষা করে বিভাগীয় গণসমাবেশের পর উজ্জীবিত খুলনা বিএনপি নেতাকর্মীরা। বাধার পরও বড় জমায়েত করায় রাজনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা চলছে সব মহলে। এ অবস্থায় বসে থাকতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ। রাজনীতির মাঠ নিজেদের দখলে রাখতে নভেম্বর মাসব্যাপী দল গোছানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ। রাজপথে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে আগামী ৪ নভেম্বর নগরীর দৌলতপুরে এবং ১ ডিসেম্বর হাদিস পার্কে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির গণসমাবেশে দলটির নেতাদের দেওয়া ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘দৃষ্টতা’ মনে করছেন তারা। এছাড়া সমাবেশে যোগ দেওয়ার সময় ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর, আধুনিক রেলস্টেশন ভাংচুরের ঘটনায় তারা ক্ষুব্ধ। এর সঙ্গে গণমাধ্যমে সমাবেশের ব্যাপক প্রচারণায় দলটির নেতারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। ২৩ অক্টোবর খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যেই আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, সমাবেশ নিয়ে গণমাধ্যম অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ করেছে।
এ অবস্থায় ভাংচুরের ঘটনা আইনীভাবে মোকাবেলার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় রাজনীতির মাঠ দখল রাখতে জনসভাসহ বড় কর্মসূচি দেওয়ার দাবি জানান দলটির নেতারা।
সভা শেষে আগামী ৪ নভেম্বর দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নতুন রাস্তা মোড়ে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে ১ ডিসেম্বর শহীদ হাদিস পার্কে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করা হবে। এছাড়া ২ নভেম্বর সদর থানা অওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা, ৫ নভেম্বর সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা, ১১ নভেম্বর খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা, ১২ নভেম্বর খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। বর্ধিত সভায় দলকে সংগঠিত করার ওপরই বেশি জোর দেওয়া হবে।
খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএনপির সমাবেশ জনগণ প্রত্যাখান করেছে। আমরা জনসভা করে দেখাতে চাই জনগণ কাদের সঙ্গে আছে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, সমাবেশে দেওয়া বিএনপি নেতাদের উস্কানি এবং সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব রাজনৈতিকভাবে দেওয়া হবে। সেজন্য জনসভাসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।