বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খুলনার গণসমাবেশের বিশাল জনসমুদ্র ঠেকাতে প্রাণপন চেষ্টা করেছিল আ’লীগ। কিন্তু নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের বাঁধ ভাঙা জোয়ার তারা রুখতে পারেনি। সে কারণেই নিরীহ-নিরাপদ অসহায় সাধারণ মানুষের উপর চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গণসমাবেশে যাতয়াত পথে বাঁধা ও বেধড়ক মারপিট করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। শুধু তাই নয়, মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহীরের রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান ‘আছিয়া সী ফুড’ এবং একাধিক ওয়ার্ডের দলীয় কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। নিরীহ ও নিরাপদ মানুষের রক্ত ঝরানোর এই ঋণ আওয়ামী লীগকে একদিন শোধ করতেই হবে, ইনশাআল্লাহ।
গত মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) নগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহীরের ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান ‘আছিয়া সী ফুড’ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহীর, নগর ও জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও আশরাফুল আলম নান্নু, কেসিসি’র কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, আফসার উদ্দিন গাজী, তারিকুল ইসলাম তারেক, এইচএম আসলাম হোসেন, মোঃ শহীদ খান, হুমায়ুন কবির, যুবদল নেতা নাসিম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে গত ২২ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলায় জখম ফুলতলা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মাঝে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রদত্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাদীন নেতাকর্মীদের কাছে নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান, যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু, এসএ রহমান বাবুল ও আশরাফুল আলম খান নান্নু, জেলা বিএনপি’র সদস্য হাসনাত রিজভী মার্শাল, মোঃ মনির হাসান টিটো মোল্লা, ওয়াহিদুজ্জামান নান্না, জামাল ভুইয়া, রফিকুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন রানা, ইকবাল হোসেন, বিদ্যুৎসহ চিকিৎসা সেবা উপকমিটির নেতৃবৃন্দ।