চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ছয়শো মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে দেড় লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্স। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান ও ইতালি। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৩০ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে আড়াই শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৫ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ১২৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৬০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৩০ লাখ ৬২ হাজার ২৩৫ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৩৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১২ হাজার ৩৮৫ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্স। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯০৭ জন এবং মারা গেছেন ১২২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৬ হাজার ৭২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৯ জন মারা গেছেন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৩২৯ জন এবং মারা গেছেন ৮৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৬২৬ জনের। একইসময়ে ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬০৫ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৯০৬ জন এবং মারা গেছেন ৬৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯১ লাখ ২৩ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৯৩ হাজার ১৩৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৩৩৪ জন।
জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৮৫২ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২০ লাখ ৮ হাজার ১২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৬ হাজার ৩০৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩০২ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৪ হাজার ৮১৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭১৩ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।