খুলনার বৈকালী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে। এখানে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এছাড়া শিববাড়ী মোড়ে দুটি মটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।
শনিবার (২২ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে বৈকালীতে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা মহানগরীর ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বরে জড়ো হয়েছেন। সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই সমাবেশ শুরু হয়ে যায়।
আয়োজকরা বলছেন, ‘দূর দূরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা এসেছেন। অনেকে বাধা বিপত্তি পেরিয়ে শুক্রবার থেকেই খুলনা শহরে অবস্থান করছেন। তাদের ফিরতে হবে। এ কারণে দিনের আলোর মধ্যেই গণসমাবেশ শেষ করা হবে।’
এদিকে, খুলনা শহরে বিভিন্ন প্রবেশমুখে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন প্রতিপক্ষ নেতাকর্মীরা। প্রবেশপথগুলোতে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করছেন তারা। যারাই খুলনায় প্রবেশ করছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না সাংবাদিকরাও। তাদের বহনকারী গাড়ি আটকিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বিকেলে খুলনা নগরীর ডাকবাংলো সোনালী ব্যাংক চত্বরে যখন বিভাগীয় গণসমাবেশ চলছিল, তখন খালিশপুর বৈকালী এলাকায় বিএনপির ওই কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে থাকা আসবাব, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুরের পাশাপাশি সেগুলোতে আগুন দেয়া হয়।
পুলিশ বলেছে, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে তারা কিছু জানে না। খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনির-উল-গিয়াস বলেন, ‘ওই কার্যালয়টিতে আগুন দেয়া হয়েছে। তবে কারা দিয়েছে তা শনাক্ত করা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’ তবে বিএনপি এই আগুনের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে। বিএনপির ওই অস্থায়ী কার্যালয়ের বিপরীতে আওয়ামী লীগেরও একটি অস্থায়ী অফিস রয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের অফিসে আগুন দিয়েছে। তারা আমাদের অফিসটি পুড়িয়ে দিয়েছে। একেবারে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমাদের কোনো নেতা-কর্মী এটা করেনি।’