খুলনার দাকোপে সহকারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও উচ্চমান সহকারী আলী একরামের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে এক প্রধান শিক্ষক খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে উচ্চমান সহকারী আলী একরামের সাথে যোগসাজসে ২০২১-২২ অর্থ বছরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বরাদ্দ হতে শিক্ষকদের মানসিক চাপ সৃষ্টি করে ঘুষ নিয়েছেন। যেমন ২ লাখ টাকা মাইনর মেরামত খাতে বরাদ্দ হতে বিদ্যালয় প্রতি ২০ হাজার টাকা, স্লিপ, প্রাকের উপকরণ ক্রয় বাবদ সিএসএস আর বরাদ্দ হতে বিদ্যালয় প্রতি ৬ হাজার টাকা, রুটিন মেনটেনেন্স ৪০ হাজার টাকার খাত হতে ৫ হাজার টাকা, এসিআর বাবদ শিক্ষক প্রতি ৫০০ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয়করণকৃত ১১ জন শিক্ষকের ইএফটি বেতন কোন আদেশ ছাড়া কর্তন করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশে পুনরায় বেতন দেন। এসময়ে বিগত ৬ মাসের বকেয়া বিল দেওয়ার জন্য ৯ জন শিক্ষকের কাছ থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং একই অর্থ বছরে বিনোদন ভাতা বাবদ প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ঘুষ নেন।
এঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলার ফকিরডাংগা ডিএফসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কুমার মন্ডল গত কয়েক দিন আগে খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
উচ্চমান সহকারী আলী একরাম বলেন, এবিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। তবে আমি কোন টাকা নেয়নি।
সহকারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, কার কাছে কি অভিযোগ দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন্ত পোদ্দার বলেন, বিষয়টি আমার যোগদানের আগের ঘটনা। তবে আমি যোগদানের পর ঘুষ লেনদেনের ঘটনাটি শিক্ষকদের কাছ থেকে মৌখিক ভাবে শুনেছি।
এব্যাপারে খুলনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ মোসলেম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই