ছাত্রী হলের সিটে শিক্ষার্থী তুলতে ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে খালেদা জিয়া হলের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন হলের ছাত্রীরা। আন্দোলন চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।
এসময় ‘হেনস্তাকারীদের ছাত্রত্ব বাতিল কর’, ‘আমার বোনকে হেনস্তা কেন, বিচার চাই’, ‘প্রশাসন কই জবাব চাই, জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রীরা। হেনস্তাকারীদের বহিষ্কার, ছাত্রলীগকে জানানো ওই ছাত্রীর সিট বাতিল এবং হলের ছাত্রীদের নিরাপত্তার দাবি জানান তারা।
জানা যায়, ছাত্রলীগের রেফারেন্সে খালেদা জিয়া হলের ২০৪নং কক্ষে জানালার পাশের সিটে উঠতে চান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দা সাইমা রহমান। ব্লকের ২০৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সিনিয়র শিক্ষার্থী পপি আক্তার তাকে দরজার পাশের বেডে থাকতে বলেন। এরপর ওই শিক্ষার্থী তার পরিচিত ছাত্রলীগের বড় ভাই শাহীন ও হাফিজকে বলেন। এরপর বিকেলে শাহীন, হফিজ, মাসুমসহ অন্যান্য কর্মীরা পপি ও তার বন্ধুকে মারধর করেন। পরে হল গেটে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্রীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক কার্যকর সিদ্ধান্ত জানাতে বলেন। তবে ছাত্রীদের অনুকূলে সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় আন্দোলন চলতে থাকে। পরে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী এসে সকালে আলোচনায় বসে বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পথিক জানান, গার্লফ্রেন্ডকে সিটে উঠানো নিয়ে পপিকে বিকেলে ডাকেন হাফিজ। পরে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পপিকে থাপ্পড় মারেন তিনি। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করেন।
এ বিষয়ে শাহীন আলম বলেন, ছাত্রীকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ছাত্রীর সঙ্গে থাকা বন্ধু জুনিয়র হয়ে সিনিয়রকে তুই তোকারি করলে তাকে ধাক্কা দেয়। এসময় আমি তাদের বুঝিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। বিষয়টি নিয়ে সহকারী প্রক্টর ও হলে প্রভোস্টরা সকালে বসবেন। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করবেন।