২০১৫ সালে সবশেষ বাংলাদেশ সফরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। এরপর কেটে গেছে ৭ বছর। এ সময়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনও সিরিজ খেলার সুযোগ হয়নি টিম টাইগার্সের। তবে আবার খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এফটিপি সূচি অনুযায়ী সবকিছু ঠিক থাকলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পহেলা ডিসেম্বর ঢাকায় পা রাখবে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল।
অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেমে পড়বে বাংলাদেশ দল। ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজে থাকছে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট। এরই মধ্যে এই সিরিজের সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই তা প্রকাশ করবে দুই বোর্ড।
জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারতের সিরিজটি ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে শুরু হবে। মিরপুরে প্রথম দুই ওয়ানডে হবে ৪ ও ৭ ডিসেম্বর। তৃতীয় ওয়ানডে ১০ ডিসেম্বর হবে চট্টগ্রামে। বন্দর নগরীতেই হবে দুই দলের প্রথম টেস্ট। ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় টেস্ট ঢাকায় ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই ভারত যাবে নিউজিল্যান্ডে সফরে। সেখানে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে ১৮ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। নিউজিল্যান্ড থেকেই অতিথিরা বাংলাদেশে আসতে পারেন।
তিনটি ওয়ানডে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ নয়। তাই মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে ভারত দ্বিতীয় সারির দল পাঠালে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ২০১৪ সালেও তারা এমন করেছিল। ধোনি, কোহলিকে বিশ্রাম দিয়ে রায়নাকে অধিনায়ক করে উথাপ্পা, স্টুয়ার্ট বিনিদের ঢাকায় পাঠিয়েছিল বিসিসিআই। তবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। যেখানে প্রতিটি পয়েন্টের মূল্য অনেক। ভারতের টেস্ট স্কোয়াড এমনিতেও আলাদা। সেই দলের সঙ্গে রোহিত, বিরাট কোহলিরা যুক্ত হতেও পারেন।