ফিরতি ক্যাচটি ধরতে পারলেই ফারিহা তৃষ্ণার পর চলতি নারী এশিয়া কাপে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় বোলার হয়ে যেতেন রুমানা আহমেদ। কিন্তু জেমাইমা রদ্রিগেজের করা সজোরে করা শট রুমানার হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়ায় হ্যাটট্রিক আর হয়নি।
তবে রুমানার ঘূর্ণিজাদুতে ঝড়ো শুরু করা ভারতের ইনিংসে লাগাম তেনেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করতে পেরেছে ভারত। টানা দ্বিতীয় জয় পেতে বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন ১৬০ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দশ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৯১ রান করে ফেলেছিলেন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। পরে দুই লেগস্পিনার রুমানা আহমেদ ও ফাহিমা খাতুনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ ১০ ওভারে ৬৮ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত।
ইনিংসের ১২তম ওভারের শেষ বলে রানআউটে ভাঙে ভারতের উদ্বোধনী জুটি। ফাহিমার অফস্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারি আলতো ঠেলে দিয়ে রানের কথা ভাবছিলেন শেফালি। ততক্ষণে এই ম্যাচের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্মৃতি চলে যান মাঝপিচে।
রিতু মনির দারুণ ফিল্ডিংয়ের কারণে রান নেওয়া থেকে বিরত থাকেন শেফালি। কিন্তু যথাসময়ে আর নিজের ক্রিজে ফিরতে পারেননি স্মৃতি। ফলে ৩৭ বলে ৪৬ রানে থামতে হয় এ বাঁহাতি ওপেনারকে। এ রানআউটে ভাঙে ৯৬ রানের উদ্বোধনী জুটি।
স্মৃতির ফেরার পর শেফালির রান তোলার গতি কমে যায়। একপর্যায়ে ৩১ বলে ৪৬ রান নিয়ে খেলতে থাকা শেফালি ফিফটি করতে খেলেন সবমিলিয়ে ৪০ বল। ইনিংসের ১৫তম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই ৫৫ রান করা শেফালিকে বোল্ড করেন রুমানা।
নিজের পরের ওভারের শেষ দুই বলে জোড়া আঘাত হানেন রুমানা। এবার তার শিকারে পরিণত হন রিচা ঘোষ ও কিরন নাভগির। পরে ১৯তম ওভারে হ্যাটট্রিক বলেও উইকেটের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রুমানা। কিন্তু জেমাইমার ফিরতি ক্যাচ ধরতে না পারায় হয়নি হ্যাটট্রিক।
সেই ওভারটিতে ১৫ রান খরচ করে ফেলেন রুমানা। হ্যাটট্রিক বলে জীবন পাওয়া জেমাইমা শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৬ রান দিয়ে দিপ্তী শর্মার (৫ বলে ১০) উইকেট নেন সালমা খাতুন।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ৩ ওভারে ২৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন রুমানা। যার সুবাদে চলতি এশিয়া কাপে ৮ উইকেট হলো তার। ফাহিমা উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২১ রান। সালমা ৩ ওভারে ১৬ রানে নিয়েছেন একটি উইকেট।
খুলনা গেজেট/এসজেড