রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পদ্মা সেতু অতিক্রম করে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে আজ বিকেলে এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছেন।
টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার রেদওয়ান আহমেদ তৌফিক এমপি এবং বঙ্গভবনের কর্মকর্তাসহ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ফাতেহা পাঠ করেন এবং জাতির পিতা, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মর্মান্তিক হত্যাকান্ডে অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনায় মোনাজাতে যোগ দেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয় এবং সেই সাথে জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
এর আগে রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে রাষ্ট্রপতি হামিদ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
রাষ্ট্রপতি সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন, যিনি তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য সহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম রাতে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। পরে তিনি চা চক্রে অংশ নেন।
চা চক্র শেষে রাষ্ট্রপতি বিকেল সোয়া ৫টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে কাশিয়ানী উপজেলার কালনা সেতুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি মধুমতি সেতু (কালনা সেতু) ও মধুমতি নদী দর্শন করেন।
সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে তিনি মধুমতি সেতু থেকে শিবচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর কবর জিয়ারত ও মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজ মসজিদ দর্শন করেন।
সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে শিবচর হতে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। রাত সাড়ে ৮ টায় রাষ্ট্রপতির বঙ্গভবনে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে রাষ্ট্রপতির মোটরবহর পদ্মা সেতু অতিক্রম করে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছায়।
সেতুতে ওঠার পর আবদুল হামিদ তার গাড়ি থেকে নেমে পরাক্রমশালী পদ্মা নদীর দৃশ্য উপভোগ করেন। রাষ্ট্রপতি তার পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটো সেশনেও অংশ নেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এটি অতিক্রম করে রাষ্ট্রপতি প্রথম টুঙ্গিপাড়া সফর করলেন।