নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে আসামির পরিবার। পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে ছিনিয়ে নেয় আসামিকে। এ সুযোগে হ্যান্ডক্যাপসহ পালিয়ে যায় আসামি। পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম বয়াতি। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাট উপজেলার জামাইয়ের টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। সে ওই এলাকার আলী আজমের ছেলে।
পালিয়ে যাওয়া আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রাথামিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসামি বয়াতি পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক। সে দীর্ঘ তিন বছর যাবত রিকশা চালানো ছেড়ে দিয়ে বসুরহাট পৌরসভার স্থানীয় এক নেতার মদদে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। বুধবার দুপুরের দিকে জামাইয়েরক টেক এলাকায় মাদক বিক্রি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে এএসআই রবিউলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে গাঁজাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বয়াতিকে ছাড়িয়ে নিতে পরিবারের কয়েকজন নারী ও পুরুষ সেখানে উপস্থিত হয়।
আসামিকে নিয়ে থানার উদ্দেশ্যে রওনা হলে ঘটনাস্থলে একজন নারী পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাস্থল থেকে আসামি বয়াতি পালিয়ে যায়। এরপর অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বয়াতির মামা মোশারেফ (১৯), সৌরভ (২৪),মামাতো ভাই কালা (১৯) ও প্রতিবেশী ইমন (২৪) কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাত ৮টা পর্যন্ত পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ী বয়াতি ও তার পরিবারের কোন সদস্যকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো.রবিউল বলেন, ঘটনাস্থলে আমরা ৪-৫জন পুলিশ ছিলাম। নারী হওয়ায় আমরা কিছু করতে পারিনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পালিয়ে যাওয়া বয়াতিকে গ্রেপ্তারে করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সে এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড