আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ফাইনালে প্রতিপক্ষ সেই আয়ারল্যান্ড। সেই ম্যাচেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
২০২৩ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল। সেই সুবাদে অপরাজিত থেকে শিরোপা জয় করল টাইগ্রেসরা।
বাংলাদেশের দেয়া ১২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টাইগ্রেস বোলারদের বোলিং নৈপূণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তুলতে সক্ষম হয় আয়ারল্যান্ড।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে আইরিশরা। স্কোরবোর্ডে ২৪ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট।
তিন টপ অর্ডার এমি হান্টার, গ্যাবি লুইস ও অর্লা প্রেনডার্গ্রেস্টকে মাঠ ছাড়তে হয় এক অঙ্কের ঘরে আটকে থেকেই।
কিছু সময়ের জন্য লড়াই করলেও রুমানার শিকার বনে ১২ রানে হাল ছাড়তে হয় অধিনায়ক লরা ডেনলি ও ১৮ রান করা এইমার রিচার্ডসনকে।
মূলত এরপর আর কার্যকরী ইনিংস খেলা সম্ভব হয়নি আর কোন আইরিশ ব্যাটারের পক্ষে। যার ফলে ১১৩ রানেই থেমে যায় আয়ারল্যান্ডের রানের চাকা।
এর আগে আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে মন্থর গতির শুরুর পর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। আর্লিন কেলির শিকার হয়ে ৬ রান করে সাজঘরের পথ ধরতে হয় মুর্শিদা খাতুনকে।
এরপর ফারজানা হক উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে নিগার সুলতানাকে নিয়ে লড়াই শুরু করলেও বেশিদূর যাওয়া সম্ভব হয়নি। দলীয় ৪৭ রানে সারা মুরের শিকার বনে ৬ রানেই মাঠ ছাড়তে হয় নিগারকে।
উইকেটের একপ্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলেও শক্তহাতে হাল ধরে রাখেন ফারজানা। দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে ৫৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফারজানার উইকেট পতনের পর তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে টাইগ্রেসদের ইনিংস।
রুমানা ২০ বলে ২১ করলেও সোবহানা মোস্তারি, রিতু মণি, সালমা খাতুন, লতা মন্ডলকে সাজঘরের পথ ধরতে হয় এক অঙ্কের ধরে আটকে থেকেই।
সেই সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ করে ৮ উইকেটে ১২০ রান। শেষ পর্যন্ত এ রানই জয়ের জন্য যথেষ্ঠ প্রমাণ হয়।