সাফ শিরোপজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল নেপাল থেকে বাংলাদেশে ফিরেছে। বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট নম্বর বিজি ৩৭২ দুপুর ১২টা ১৫ তে কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। বুধবার দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে সাবিনা খাতুনদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি। । সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এছাড়া বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দর এলাকায় জমা হতে শুরু করেছেন ভক্ত ও সমর্থকেরা। সংবাদমাধ্যমকর্মীদের ভিড়ও বাড়ছে চ্যাম্পিয়নদের প্রত্যাশায়।
অন্যান্য ভক্তদের সঙ্গে বিমানবন্দরে এসেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে পরিচিত মুখ শুয়েব আলী। টাইগার শুয়েব নামে পরিচিত এ তরুণের আক্ষেপ দলের জয় দেখতে নেপাল যেতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘মেয়েরা যেভাবে খেলেছে সেটা আসলেই অকল্পনীয়। এটা দেশের জন্য অনেক বড় অর্জন। এই বাঘিনীদের পেছনে যেভাবে কাজ করেছেন সবাই বিশেষ করে ছোটন ভাই, উনি স্যালুটের যোগ্য। যখন জিতসে তখন কষ্ট পেয়েছি কেনো নেপাল গেলাম না! এই জন্য এখন এখানে চলে আসলাম। আমি আশা করি মেয়েরা শিগগিরই বিশ্বকাপে খেলবে।’
বিকেএসপি থেকে বিমানবন্দরে চ্যাম্পিয়নদের স্বাগত জানাতে এসেছে খুদে ক্রীড়াবিদদের একটি দল। সাবিনা-স্বপ্নাদের বরণ করে নিতে অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না তাদের।
বিকেসপির ক্রীড়াবিদ লামিয়া বলেন, ‘আপুরা ভালো খেলেছে ট্রফি জিতেছে। তাদের জন্য এখানে এসেছি। খুব ভালো লাগছে।’
দলে দেশে ফেরার পর অভ্যর্থনার নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দলের জন্য তৈরি করা হয়েছে ছাদখোলা দ্বিতল বাস। বাসটির ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মতিঝিলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভবন পর্যন্ত উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরে সাবিনা-কৃষ্ণাদের যৌথভাবে সংবর্ধনা দেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সেখানে সাফজয়ী ফুটবলারদের ফুল দিয়ে বরণের পাশাপাশি মিষ্টিমুখ করানো হবে।
চ্যাম্পিয়নদের বহনকারী বাসটি বিমানবন্দর-কাকলী-জাহাঙ্গীর গেট-পিএম অফিস-বিজয় সরণি-ফকিরাপুল হয়ে বাফুফে ভবন যাবে।