চলতি বছরই পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) বন্ধ মিলগুলো চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামে আমিন জুটমিল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের ভাড়াভিত্তিক মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন ও উৎপাদিত পাটপণ্য রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব মিলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, এরই মধ্যে তিনটি জুট মিল (বাংলাদেশ জুট মিলস লিমিটেড, কেএফডি জুট মিলস লিমিটেড ও জাতীয় জুট মিলস লিমিটেড) ভাড়াভিত্তিক ইজারা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। আরো তিনটি জুট মিলের লিজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এসময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভাড়াভিত্তিক লিজ প্রদানকৃত মিলগুলোয় নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
উল্লেখ্য, সরকারি সিদ্ধান্তে পাটকলগুলোর বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও পাটখাত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
২৫টি জুট মিলের সকল স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ, ছুটি নগদায়নসহ সমুদয় পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
এছাড়াও যাচাইকৃত বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি/প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা, মিল চলাকালীন সময়ের ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রাচ্যুইটিসহ সকল দায় এবং কাঁচাপাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড