সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ পদ দীর্ঘদিন দখলসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত হয়েছে । দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কলেজে উপস্থিত থেকে এই তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর শেখ হারুনর রশীদ ও সহকারী পরিচালক (কলেজ) মোঃ ইনামুল ইসলাম।
অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমেদের নিয়োগসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দুই বছর আগে দুদক’র নির্দেশে অনুষ্ঠিত তদন্তে অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিললেও অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। প্রতিকারের আশায় অভিযোগকারীরা পুনরায় তদন্তের আবেদন করায় ফের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজে সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লংঘন করে তোফায়েল আহম্মেদ দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে থেকে তিনি অভিজ্ঞতা অর্জন করে ০৮/০৫/১৬ তারিখে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেন। পরবর্তীতে আবারও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগের উদ্যোগ না নিয়ে একটানা ৩ বছর অধ্যক্ষ পদ দখল করে রেখে পুনরায় ১৩/০৭/১৯ তারিখে প্রক্সির কয়েকজন প্রার্থীর সহযোগিতায় পাতানো নিয়োগ পরীক্ষায় নিজে অধ্যক্ষ হয়েছেন। নিয়োগ পরীক্ষার একদিন পূর্বেই পাতানো নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে অধ্যক্ষ হিসেবে তোফায়েল আহম্মেদ নিয়োগ পাচ্ছেন মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় যা শেষ শেষ পর্যন্ত সত্য বলে প্রমাণিত হয়। এর আগে থেকে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে স্বৈরাচারী কায়দায় পদ দখল করে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক ভাবে জানাজানি হলে অভিভাবক ও সূধী সমাজের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তোফায়েল আহম্মেদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনানূগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এলাকার অভিভাবক ও সচেতন মহল।
খুলনা গেজেট/ টি আই