সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের মুক্তি ও মিতু হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১১নং আবাইপুর ইউনিয়নের হাটফাজিলপুর বাজারে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বাবুল আক্তারের পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাবুল আক্তারের পিতা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, ১১নং আবাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল বিশ্বাস, জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক হাবিবুর রহমান হাবিব, ঝিনাইদহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক শামীমুল ইসলাম শামীম, ১১নং আবাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারনসম্পাদক ফারম্নকুজ্জামান উকিল মোলস্না প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে ষড়যন্ত্র করে আটক করা হয়েছে। সেখানে বক্তারা দ্রুত তার মুক্তির দাবী জানান। সেই সাথে মাহমুদা খানম মিতু হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করেন।
বাবুল আক্তারের পিতা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন,পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানসহ সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেছে আমার পুত্র সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে আমার পুত্রবধু মিতু তার ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। কিন্তুু পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে সম্পৃক্ততা করে পিবিআই। তিনি বাবুল আক্তারের মুক্তিসহ মিতু হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড