অভিভাবকদের আপত্তি সত্বেও ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের ৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় পরীক্ষা হওয়ায় ১৩ হাজার ৮৪২ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। তারা প্রত্যেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছিলেন।
অভিভাবকরা জানান, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ পরীক্ষা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বেশিরভাগ আসন ছিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে। যার কারণে খুলনা অঞ্চলের পরীক্ষার্থীরা এখানে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
অথচ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় খুলনায় আসন পড়েছে মাত্র ১ হাজার ৯০০টি। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা থেকে আবেদন করেছেন প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের বেশিরভাগেরই আসন পড়েছে ঢাকায়। ঢাকায় পরীক্ষায় অংশ নিতে ৫/৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। দুর্মূল্যের বাজারে এই টাকা জোগাড় করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব ছিলো না। যার কারণে অভিভাবকরা খুলনায় আসন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। যার কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তাদের অনেকেই। যারা এসেছিলেন তাদের ভোগান্তিরও শেষ ছিলো না।
শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদ ভবনের সামনে বসেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ভগমানপুর গ্রাম থেকে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছেন তিনি। দুই দিন আগে সাভারে আত্মীয়ের বাসায় উঠেন তিনি।
কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সেখানে ভর্তি পরীক্ষা হলে অসুস্থ শরীর নিয়ে এতো দূর আসা-যাওয়া ৭/৮ টাকা অতিরিক্ত খরচ হতো না।
দূর দূরান্তের জেলাগুলো থেকে আসা অভিভাবকদের অভিব্যক্তি ছিলো এমনই।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম জানান, এ বছর ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৫৩৯টি আসনের বিপরীতে এবার আবেদন করেছে ৭৯ হাজার ১৫৯ জন। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬৫ হাজার ৩১৭ অংশ নেন। অংশ গ্রহণের হার ৮২ শতাংশের বেশি। নানা কারণে অনেকে অংশ নিতে পারেননি। এটা স্বাভাবিক বিষয়।
খুলনা গেজেট/এমএম