আফগানিস্তানের দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। ফজলহক ফারুকীর বলে এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়ে এক বল খেলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন বাবর আজম। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ফখর জামান বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। তিন ওভার এক বলের মাথায় ৯ বলে ৫ রান করে রান আউট হন তিনি। আর দলীয় ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন রেজওয়ান। তিনি ২৬ বলে ২০ রান কেরন। রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ এর শিকার হন তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৮ রান তুলেছে পাকিস্তান।
বুধবার টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল আফগানিস্তান। ৩ ওভার পাঁচ বলের মাথায় দলীয় ৩৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানরা। হ্যারিস রউফের বলে রহমানুল্লাহ গুরবাজ বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি। ১১ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফগান ওপেনার। পরের ওভারেই উইকেট বিলিয়ে দেন হজরতউল্লাহ জাজাই। করেন ১৭ বলে ২১ রান।
পরে দলের হাল ধরেন ইবরাহিম জাদরান। ঠাণ্ডা মাথায় খেলে করিম জানাতের সঙ্গে একটা জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। ১৫ রান সংগ্রহ করে জানাত বিদায় নিলে এই জুটিও ভেঙে যায়। এরপর ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি নজিবউল্লাহ জাদরানও। ১০ রান করে উইকেট হারান তিনি।
খালি হাতে ফিরতে হয় আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবিকে। শূন্য রানে বিদায় নেন তিনি। একপ্রান্ত আগলে রাখা ইবরাহিমকে বিদায় করে আফগানদের চেপে ধরে পাকিস্তানি বোলাররা। ৩৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে রউফের শিকার হন ইবরাহিম।
শেষদিকে এসে রশিদ খান ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটিংয়ে ১২৯ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। ১৫ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন রশিদ। ১০ বলে অপরাজিত ১০ রানের ইনিংস খেলেন ওমরজাই।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন হারিস রউফ। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এই পেসার। আরেক পেসার নাসিম শাহ ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রানে নেন একটি উইকেট।
খুলনা গেজেট/এমএম