এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। শাকিব আল হাসানের দলের পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। হতাশ বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের পরামর্শদাতা শ্রীধরন শ্রীরামও। বিশ্বকাপের আগে শাকিবদের দলে রদবদল চান তিনি।
প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ শাকিবরা। বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্তা থেকে সমর্থকরা জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে বেশ বিরক্ত। ভারতীয় কোচ শ্রীরামও মনে করছেন, এই দল নিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল ফল করা অসম্ভব। এশিয়া কাপের কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি। এশিয়া কাপে শাকিবদের খেলা দেখার পর তিনি মনে করছেন, দু’তিন জন ক্রিকেটার পরিবর্তন করতে হবে। নিজের মতামত বোর্ড কর্তাদের জানিয়েছেন শ্রীরাম। কোন ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপের দলে চাইছেন না, তা নিয়ে অবশ্য প্রকাশ্যে কিছু বলেননি শ্রীরাম। তাঁর পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিবি।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘শ্রীরাম দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর প্রথমে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখতে চেয়েছিলেন। উনি চেয়েছিলেন ছেলেদের মানসিকতা বুঝতে। ক্রিকেট নিয়ে ওদের ভাবনা-চিন্তা বুঝতে। সকলের মতামত আলাদা হতেই পারে। উনি যে পর্যবেক্ষণের কথা আমাদের জানিয়েছেন, তাতে আপত্তি করার মতো কিছু নেই আমাদের।’
১২ সেপ্টেম্বর থেকে মীরপুরে জাতীয় দলের শিবির শুরু করবেন শ্রীরাম। লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। তা নিয়ে রাজ্জাক বলেছেন, ‘জাতীয় দলে থাকতে পারে এমন সব ক্রিকেটারের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক।’ জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচকরা আলোচনা করবেন বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে। বেশ কিছু রদবদলের ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, ‘শ্রীরামের সঙ্গে আমি আবার আলোচনা করব। নতুন কয়েকজন ক্রিকেটারকে আমরা টি-টোয়েন্টি দলে নিয়ে আসব। অন্তত দু’জনকে বাদ দেওয়া হবে।’
বিসিবির ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে পরিবর্তন করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমরা নতুন দল তৈরি করতে চাইছি। সেটাই চেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন কোচ এসেছেন। তিনি দলের খোলনোলচে বদলাতে চান। আমরা এখান থেকেই নতুন যাত্রা শুরু করতে চাইছি। দলে নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া হবে। ফল ভাল হোক বা খারাপ আমরা নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করতে চাইছি।’
মুশফিকের টি টোয়েন্টি থেকে সরে যাওয়া এই প্রক্রিয়ার অংশ বলে মনে করছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। বাকি দুই জন তাহলে কে ? মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদকেও কি মুশফিকের পথে হাটতে হবে ? সাথী কে হবেন? জবাবের জন্য আরেকটু সময় অপেক্ষা করতে হবে।