পাকিস্তানকে ইনিংসের শুরু থেকেই বেশ চাপে রেখেছিল হংকং। তবে শেষের ঝড়ে সেই চাপকে জয় করেছে পাকিস্তান। পেয়েছে ১৯৩ রানের বিশাল এক সংগ্রহ।
পাকিস্তান আর হংকং দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে ভারতের কাছে। তাই আজকের ম্যাচটা অঘোষিত নকআউটে রূপ নিয়েছে। একটু পা হড়কালেই বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে এশিয়া কাপ থেকে।
এমন এক লড়াইয়ের শুরুতে টস হেরেছেন বাবর। নামতে হয়েছে ব্যাট হাতে। এরপর শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি দলটির। দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ধীরগতিতে সূচনা করেন ইনিংসের। বাবর তাও একটু ‘হাত খুলে’ খেলছিলেন। ৮ বলে তিনি করেছেন ৯ রান। ওদিকে রিজওয়ান যেভাবে ইনিংস শুরু করেছেন, সেটা বোধহয় আজকাল ওয়ানডেতেও কোনো ব্যাটসম্যান করেন না। ৯ বল খেলে তিনি করেন মাত্র ৪ রান। ফলে পাকিস্তান তাদের উদ্বোধনী জুটি থেকে পায় ১২ রান, তাও ১৭ বল খরচায়।
তৃতীয় ওভারের ৫ম বলে নিজের বিপদ ডেকে আনেন বাবর। অফ স্পিনার এহসান খান বলটা খানিকটা হাওয়ায় ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বাবরকে। ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক ফিরতি ক্যাচ দেন এহসানকে। ১২ রানে পাকিস্তান হারায় নিজেদের প্রথম উইকেট। ধীরগতির শুরুর পর দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে খুইয়ে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খানিকটা অস্বস্তিতেই পড়ে যায় দলটি।
এরপর ফখর জামানকে সঙ্গী হিসেবে পান রিজওয়ান। তবে দুজনের রান তোলার গতি ভাবনায় রেখেছিল পাকিস্তানকে। দশ ওভার শেষে দলটা তোলে মাত্র ৬৮ রান। ১০০ ছুঁতে লেগে যায় ১৪ ওভার। এর আগের ওভারেই অবশ্য ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন রিজওয়ান, তবে সেটা আসে ৪২ বল খেলে।
দলীয় রান তিন অঙ্কে পৌঁছানোর পরই যেন ঘুম ভাঙল দুই ব্যাটসম্যানের। ১৫তম ওভারে এক ছক্কা মেরে যার শুরুটা করলেন ফখর। পরের ওভারে আরও এক চার আর এক ছক্কায় নিজে পৌঁছে যান ফিফটিতে। এরপরই অবশ্য বিদায় নেন তিনি। ভাঙে ১১৬ রানের জুটিটি।
খেলার যা পরিস্থিতি ছিল তাতে তখন আসিফ আলিরই ক্রিজে আসার কথা, সেখানে পাকিস্তান পাঠায় খুশদিল শাহকে। সে সিদ্ধান্তটাই দারুণভাবে কাজে লেগে যায় দলের জন্য। একপাশে ফিফটি করা রিজওয়ান হাত খুলে খেলতে শুরু করেছেন, অপর পাশে নতুন ব্যাটসম্যান খুশদিল শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখী। তাতে চাপ সামলে পাকিস্তান লড়াকু স্কোরের আশাই দেখছিল।
তবে পাকিস্তানের স্কোরের সঙ্গে ‘লড়াকু’ শব্দটা না বসে ‘বিশাল’ বিশেষণটা বসছে খুশদিলের কল্যাণে। শেষ ওভারে চারটা ছক্কায় যে তিনিই স্কোরটা নিয়ে গেছেন হংকংয়ের নাগালের বাইরে! ইনিংস শেষে তিনি অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ৩৫ রান নিয়ে, আর পাকিস্তান পেয়ে যায় ১৯৩ রানের বিরাট এক পুঁজি।