এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই উইকেটে হেরে গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। ১৮৩ রান করেও হেরেছে সাকিবের দল। আবর আমিরাতে সাত টি-২০ খেলে জয়ের মুখ দেখেনি টাইগাররা। অন্যদিকে আমিরাতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতেছে লঙ্কানরা।
ম্যাচ হারায় ক্ষুব্ধ ভক্তরা সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিককে দায় দিচ্ছেন। তিনি ম্যাচের শুরুতে লঙ্কান ওপেনার কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ ফেলেছেন। ওই কুশল শেষ পর্যন্ত দলের পক্ষে ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন। এমনকি সাকিবের পরিকল্পনাও ভেঙে দিয়েছেন।
শেখ মেহেদি স্পিনার হয়েও নো বল করেছেন। তার বলে কুশল আউট হন। কিন্তু আম্পায়ারস রিভিউতে দেখা যায় সেটি নো বল ছিল। আবার অভিষেক টি-২০ খেলা এবাদত হোসেন ৪ ওভারে ৫১ রান দেওয়ায় তার এক হাত নেওয়া হচ্ছে।
দুবাই গ্রাউন্ডে স্পিন ধরে, হাতে স্পিন অপশন থাকা সত্ত্বের অধিনায়ক কেন শেষ তিন ওভারের দুটি স্পিন রাখলেন। অভিষেক হওয়া পেসার এবাদতকে কেন ১৯তম ওভারে আক্রমণে আনলেন এমন প্রশ্নও আছে।
অধিনায়ক সাকিব ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসবের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মুশির ক্যাচ নিয়ে তিনি বলেছেন, কুশল তখন পাঁচ রানও করেননি। তখন তার ক্যাচটা ধরতে হতো। শেষ পর্যন্ত তিনিই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন।
এবাদত ও মাহেদি নো বল করেছেন। ম্যাচে ওয়াইড ও নো বল হয়েছে ১২টি। সাকিবের মতে, স্পিনারের নো বল দেওয়া ক্রাইম। তিনি মনে করেন, চাপের কারণে নো বল করেছেন তারা। এমনিতে শেখ মাহেদি নো বল করেন না।
শেষে কেন স্পিনার ওই ব্যাখ্যায় সাকিব বলেছেন, কুশল মেন্ডিস স্পিনের বিপক্ষে খুবই ভালো খেলেন। ক্রিজে সেট ব্যাটার ছিলেন লঙ্কান ওপেনার। সেজন্য তাকে পেস বোলিং নিয়ে আক্রমণ করেছেন তারা। তার ওই পরিকল্পনা কাজে দিলেও শেষ পর্যন্ত এবাদত-মাহেদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেননি।