নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত যুবদলকর্মী রাজা আহমেদ শাওনের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে তার বাড়িতে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বেলা সোয়া বারোটার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার নবীনগর বাজারে শাওনের বাড়িতে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব। শাওনের বাড়িতে গিয়ে কবর জিয়ারতের পাশাপাশি তার মা ও দুই ভাইকে সান্ত্বনা দেন মির্জা ফখরুল।
পুলিশের গুলিতেই যে শাওনের মৃত্যু হয়েছে, এটা প্রামণিত। শাওনকে হত্যার দায় তারা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারে না। এসময় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, পাখির মতো মানুষ মারবেন না।
তিনি আরও বলেন, শাওন যে যুবদলের রাজনীতি করতো এবং যুবদলের কর্মী ছিল সেটাও প্রমাণিত হয়েছে। যদি সে রাজনীতি নাও করে তাও একজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে মেরে ফেলার কোনো অধিকার পুলিশের নেই।
এসময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বাবায়ক জাহিদ হাসান রোজেলসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে উপস্থিল ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় শাওন নামে যুবদলের ওই কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এরপর শাওনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় দেড় ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে শাওনের মৃত্যু ছাড়াও পথচারী-নারীসহ আরও ২৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটায় পুলিশের সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।