বোরো সংগ্রহ অভিযান বুধবার শেষ হয়েছে। বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে চারদিন ধরে চাল আমদানি চলছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে জেলার ৬৮টি ইউনিয়নে কেজিপ্রতি ১৫ টাকা দরে চাল বিক্রি হবে। সবমিলিয়ে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় আজ থেকে জেলায় চালের দাম কমবে- এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন খাদ্য কর্মকর্তা।
চালের দামে লাগাম টানতে আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক আরও কমছে। রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক প্রজ্ঞাপনে চালের ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি চাল আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জুলাই থেকে ১১ আগষ্ট পর্যন্ত হিলি, বেনাপোল ও ভোমরা শুল্ক স্টেশন দিয়ে ২৭শ’ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। প্রতি কেজি চাল গোডাউন পর্যন্ত পৌঁছতে যে খরচ তারচেয়ে কম খরচে স্থানীয় মিলগুলোতে চাল বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে মোটা সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। আমদানি করলে এই চাল ৫৬ থেকে ৫৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হবে।
ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আমদানি করার কথা কৃষি মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে। এ চালের মধ্যে থাকবে আধাসেদ্ধ ও আতপ।
খুলনা জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ি, আজ জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে মোটা চাল ৪১-৪২, মাঝারি চাল ৫৩-৫৪, চিকন ৬২-৭০ ও আতপ ৪৩-৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুলনা জেলার ৬৮টি ইউনিয়নে আগামীকাল থেকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৮৩ হাজার ৮৭৫জনের মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হবে। প্রতি কার্ডধারী মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। জেলার ১৭৩জন ডিলার সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৫১৯ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল বিক্রি করবেন।
সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ জাহিদুল ইসলাম তথ্য দিয়েছেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে কোন রকম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। ইতিমধ্যেই ডিলাররা টাকা জমা দিয়ে চাল উত্তোলন শুরু করেছেন। আমন ওাার আগ পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। তিনি বলেছেন, বুধবার বোরো সংগ্রহ অভিযানের ফলাফল ইতিবাচক। গুদামে যথেষ্ঠ পরিমানে চাল মজুদ আছে। বোনাপোল ও ভোমরা বন্দর দিয়ে প্রতি সপ্তাহে চাল আমদানি হচ্ছে। পাশাপাশি খাদ্য বান্ধব কর্মসুচি শুরু হচ্ছে। বাজারে সরবরাহ বাড়লে মূল্য স্থিতিশীল হবে। তিনি বলেন, উর্দ্ধগতি রোধ হবে।
খুলনা গেজেট /এমএম