৬,৬,৬,০,৬,২–হংকংয়ের পেসার হারুন আরশাদের করা ইনিংসের শেষ ওভার থেকে ২৬ রান তুলেছেন সূর্যকুমার যাদব। তার ২৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের সঙ্গে বিরাট কোহলির অপরাজিত ফিফটিতে হংকংয়ের বিপক্ষে ১৯২ রানের পাহাড়সম পুঁজি পেয়েছে ভারত।
বুধবার (৩১ আগস্ট) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন হংকং অধিনায়ক নিজাকাত খান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা ধীরগতিতেই শুরু করে ভারত। পাওয়ারপ্লে তথা প্রথম ছয় ওভার থেকে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান তোলে তারা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আয়ুশ শুক্লার বলে মিড অফে এজাজ খানের দারুণ এক ডাইভিং ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা (১৩ বলে ২১)।
অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল খেলেছেন কচ্ছপগতির এক ইনিংস। ৩৯ বলে ২ চারে ৩৬ রান করে মোহাম্মদ ঘাজানফারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপরই তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঝড় তোলেন কোহলি এবং সূর্যকুমার। দীর্ঘদিন ব্যাট হাতে বাজে ফর্মের সঙ্গে লড়তে থাকা কোহলি এদিন ফিফটিকেই যেন পাখির চোখ করেছিলেন। সেজন্য কিছুটা রয়েসয়ে খেলে ৪০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের ৩১তম অর্ধশতক তুলে নেন তিনি।
ততক্ষণে অন্যপ্রান্তে রুদ্ররূপ ধারণ করেছেন সূর্যকুমার। হংকংয়ের বোলারদের ছাতু বানিয়ে মাত্র ২২ বলে অর্ধশতকের মাইলফলক পার করেন তিনি। শেষ ওভারে তার ব্যাট যেন হয়ে ওঠে খাপখোলা তলোয়ার। পেসার আরশাদের করা সেই ওভারের প্রথম ৩ বলে টানা ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। এরপরের বলটি ডট দিয়ে পঞ্চম বলে আবার শূন্যে ভাসিয়ে বল সীমানাছাড়া করেন তিনি। ওভারের শেষ বল থেকে নেন ২ রান। সমান ৬ চারে এবং ৬ ছক্কায় ২৬ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। অন্যদিকে ৪৪ বলে ১ চার এবং ৩ ছয় সহযোগে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি।
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করতে হলে হংকংকে নির্ধারিত ২০ ওভারে করতে হবে ১৯৩ রান।