খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯০
  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসা থেকে ২ সন্তানসহ বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার
  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭

বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার ফোরে আফগানিস্তান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে এক পা এগিয়ে রেখেছিল নবীর দল। নেতৃত্বে ফেরা সাকিবের এই মন্ত্রে অল্প রানে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু নাগালে লক্ষ্য পাওয়া আফগানদের আটকানো সম্ভব হয়নি। আজ বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সুপার ফোরে উঠে গেছে আফগানিস্তান। ফলে প্রথম দল হিসেবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নাম লিখিয়েছে মোহাম্মদ নবীর দল।

আফগানিস্তানের হয়ে নাজিবউল্লাহ ৩৭ ও ইব্রাহীম ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংসে আফগানিস্তানকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।

জয়ের জন্য ১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারাতে পারতো আফগানিস্তান। তবে সেই সুযোগ লুফে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের খাটো লেংথের বলে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তবে সহজ ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতে ব্যক্তিগত ৬ রানে জীবন পান গুরবাজ।

যদিও আফগান ওপেনারকে ইনিংস বড় করতে দেননি সাকিবই। পঞ্চম ওভারে আবারও সাকিবের বলে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টা করেন গুরবাজ। তবে সাকিবের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের কারণে বলের লাইন মিস করেন তিনি। তাতে অনায়াসে স্টাম্পিং করে মুশফিকুর রহিম। আর গুরবাজ ফেরেন ১১ রান করে।

পাওয়ার প্লের পর নিজেদের খানিকটা গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে ইবরাহিম জাদরানের সঙ্গে বড় জুটি গড়ার আগেই হজরতউল্লাহ জাজাইকে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের স্টাম্প সোজা বলে ক্রস ব্যাটে খেলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন বিপজ্জনক জাজাই। বাঁহাতি এই ওপেনার রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। তাতে ২৩ রানে ফিরে যেতে হয় তাকে।

এরপর মোহাম্মদ নবিকে ব্যক্তিগত ৮ রানে এলবিডব্লিউ করে ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আর তাতেই স্বস্তি ফিরে বাংলাদেশ শিবিরে।

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। যদিও টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় আগে ব্যাটিংয়ের ফায়দা তুলতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল। সংগ্রহটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। তার অপরাজিত ৪৮ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ ১২৭ রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো করতে পারেননি ওপেনাররা। দ্বিতীয় ওভারেইও আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের স্পিন ভেলকিতে মাত্র ৭ রান করে বোল্ড হয়ে আউট হন তিনি। যে বলে নাইম আউট হয়েছেন তার ব্যাট এবং প্যাডের মাঝে ফাঁকা জায়গা ছিল স্পষ্ট।

নাইম দ্রুত ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এনামুল হক বিজয়ও। মুজিবের বলে লেগবিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ৫ রান। এরপর অধিনায়ক সাকিব দুটি দৃষ্টিনন্দন চার মারলেও থিতু হতে পারেননি তিনিও।

রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করতে এসে পা বরাবর বল করে সাকিবের স্টাম্প ভেঙেছেন এই আফগান স্পিনার। এর ফলে দলীয় ২৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আর সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১১ রানের ইনিংস।ব্যক্তিগত ১ রানে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম শিকার হয়েছেন রশিদ খানের।

মাত্র ২৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। এই দুজনে যোগ করেন ২৫ রান। দারুণ শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ। তিনি মাত্র ১২ রান করে রশিদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন।

ষষ্ঠ উইকেটে ৩৬ রান যোগ করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাহমুদউল্লাহ ২৫ রান করে আউট হয়েছেন রশিদের ওপর চড়াও হতে গিয়ে। এরপর সপ্তম উইকেটে শেখ মেহেদীকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন মোসাদ্দেক। এই দুজনের জুটি থেকে আসে ৩৮ রান। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রান আউট হয়ে ফেরেন ১৪ রান করা মেহেদী।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!