এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। যদিও টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় আগে ব্যাটিংয়ের ফায়দা তুলতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল। বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ দলকে টেনে তোলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সংগ্রহটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। তার অপরাজিত ৪৮ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ ১২৭ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো করতে পারেননি ওপেনাররা। দ্বিতীয় ওভারেইও আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের স্পিন ভেলকিতে মাত্র ৭ রান করে বোল্ড হয়ে আউট হন তিনি। যে বলে নাইম আউট হয়েছেন তার ব্যাট এবং প্যাডের মাঝে ফাঁকা জায়গা ছিল স্পষ্ট।
নাইম দ্রুত ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এনামুল হক বিজয়ও। মুজিবের বলে লেগবিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ৫ রান। এরপর অধিনায়ক সাকিব দুটি দৃষ্টিনন্দন চার মারলেও থিতু হতে পারেননি তিনিও।
রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করতে এসে পা বরাবর বল করে সাকিবের স্টাম্প ভেঙেছেন এই আফগান স্পিনার। এর ফলে দলীয় ২৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আর সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১১ রানের ইনিংস।ব্যক্তিগত ১ রানে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম শিকার হয়েছেন রশিদ খানের।
মাত্র ২৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। এই দুজনে যোগ করেন ২৫ রান। দারুণ শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ। তিনি মাত্র ১২ রান করে রশিদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন।
ষষ্ঠ উইকেটে ৩৬ রান যোগ করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাহমুদউল্লাহ ২৫ রান করে আউট হয়েছেন রশিদের ওপর চড়াও হতে গিয়ে। এরপর সপ্তম উইকেটে শেখ মেহেদীকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন মোসাদ্দেক। এই দুজনের জুটি থেকে আসে ৩৮ রান। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রান আউট হয়ে ফেরেন ১৪ রান করা মেহেদী।