হার্দিক পান্ডিয়া-ভুবনেশ্বর কুমারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না পাকিস্তান। বাবর আজম-ফখর জামানদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৪৭ রানের পুঁজি পেয়েছে তারা। ফলে ম্যাচ জিততে ভারতের প্রয়োজন মাত্র ১৪৮ রান।
দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ভুবনেশ্বর কুমার ও আর্শদীপের বিপক্ষে ঠিকঠাক খেলতে পারছিলেন না এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তবে খানিকটা আত্মীবিশ্বাসী ছিলেন বাবর আজম। যদিও পাকিস্তানের অধিনায়ককে ইনিংস বড় করতে দেননি ভুবনেশ্বর। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে শর্ট ফাইন লেগে থাকা আর্শদীপের হাতে ক্যাচ দেন বাবর।
তাতে দুই চারে মাত্র ১০ রানে ফিরে যেতে হয় পাকিস্তানের অধিনায়ককে। এরপর অবশ্য ফখর জামান ও রিজওয়ান মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে সেটা বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেননি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আভেষ খানের টানা দুই বলে একটি ছক্কা এবং চার মেরে রানের গতি বাড়ান রিজওয়ান। তবে ইনিংসের পঞ্চম বলে উইকেট হারায় পাকিস্তান।
আভেষ খানের এক্সট্রা বাউন্সারে উইকেটের পেছনে দীনেশ কার্তিকের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফখর। যদিও ভারতের ফিল্ডাররা আবেদন করেননি। এমনকি আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলও আউট দেননি। তবে সততার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে নিজে থেকেই মাঠ ছাড়েন ১০ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার।
বাবর-ফখরের দ্রুত বিদায়ের পর ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন রিজওয়ান। এই উইকেটকিপার ব্যাটার এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইফতিখার। ইনিংসের ১৩তম ওভারে হার্দিকের করা শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে কার্তিকের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ২৮ রান।
হাফ সেঞ্চুরির আগে ফেরেন রিজওয়ান। হার্দিকের বাউন্সারে থার্ডম্যান দিয়ে খেলতে গিয়ে আভেষের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪৩ রানে আউট হন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। একই ওভারের তৃতীয় বলে রবীন্দ্র জাদেজাকে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ২ রানে আউট হয়েছেন খুশদিল শাহ। ৯ রানের বেশি করতে পারেননি আসিফ আলী।
শেষ দিকে দুই ছক্কায় ৬ বলে ১৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন শাহনেওয়াজ দাহানি। তাতে ১৪৭ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর চারটি এবং হার্দিক তিনটি উইকেট নিয়েছেন।