লঙ্কানদের বিরুদ্ধে আফগানদের লড়াই দিয়ে শুরু হলো এশিয়া কাপের ১৫ তম আসর। উদ্ধোধনী ম্যাচটিকে একতরফা বানিয়েছেন মোহাম্মদ নবীর দল। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ৮ উইকেটে; তাও আবার ১০.১ ওভার ব্যাট করেই!
আফগানদের রাজসিক এ জয়ে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বার্তা পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ দলেও। গত এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের যে অবস্থা তাতে আফগানদের এমন জয় একটুও কি চিন্তায় ফেলবে না বাংলাদেশকে?
এদিকে, আফগানরা হয়তো সাকিব আল হাসানের কথা থেকে অণুপ্রেরণাও খুঁজতে পারে। টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এশিয়া কাপে নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখতে চান বলার পর প্রথম গর্জনটা যে নবী-ফজল-রশীদ-গুরবাজদের আফগানিস্তানের কাছ থেকেই এলো।
তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করবে সাকিব আল হাসানের দল। ৩০ আগস্ট হবে সে ম্যাচ। এরপর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ১ সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা।
এবারের এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের দেয়া ১০৬ রানের সাদামাটা লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জাজাই-গুরবাজের উদ্বোধনী জুটিতে ৮৩ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান। ৪ ছয় ও ৩ চারে মাত্র ১৮ বলে ৪০ রানের তাণ্ডব তোলা গুরবাজকে হাসারাঙ্গা বোল্ড করলেও কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। জয়ের থেকে ৩ রান দূরে থাকতে রান আউট হন ইব্রাহীম জারদান। তাতে খেলায় কোনো ছাপ পড়েনি।
রাজসিক এই জয়ের শুরুটা আফগানিস্তান করেছিল টস জিতে। অন্যদিকে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট হারায় লঙ্কানরা। দুইটি উইকেটই নেন আফগানিস্তানের পেসার ফজল হক ফারুকী। বাঁহাতি এই পেসার লবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন কুশল মেন্ডিস (২) আর চারিথ আসালাঙ্কাকে (০)। এর মধ্যে কুশলের আউটটিতে আম্পায়ার আঙুল না তুললে রিভিউ নিয়ে জেতে আফগানিস্তান।
দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে পাথুম নিশাঙ্কার তৃতীয় উইকেটটি নেন আফগানিস্তানের আরেক পেসার নাভীন উল হক। লঙ্কান স্কোরবোর্ডে রান তখন ৫। আর সাজঘরে ফিরেছেন ৩ ব্যাটার। অল্পতেই দাসুন শানাকার দল গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কার শুরু তখন, তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত থামে ১০৫ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন ভানুকা রাজাপাকসে। দানুশকা গুনাথিলাকা, ভানুকা রাজাপাকসে ও চামিকা করুনারত্নে ছাড়া আর কোনো লঙ্কান ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পারেন নাই। এরমধ্যে শেষ দিকে এসে লড়ে যান চামিকা করুনারত্নে। তিনি ৩১ রান করলে আফগানদের টার্গেট বড় হয়।
আফগান বোলারদের মধ্যে ফজল হক ফারুকী নেন ৩ উউকেট এবং মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবী ২ উইকেট করে নেন।