শেরপুর সদরে একটি বেসরকারি স্কুলের টয়লেট থেকে ছাত্রের বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে শেরপুর সদর থানা পুলিশ। সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকার ড্যাফোডিল প্রিপারেটরি অ্যান্ড হাই স্কুলের একটি টয়লেট থেকে শুক্রবার দুপুরে মরদেহটি করা হয়। নিহত ১৬ বছর বয়সী ছেলেটির বাড়ি খুনুয়া গ্রামে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান মিয়া। তিনি নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, বৃহস্পতিবার স্কুলে পরীক্ষা ছিল। বিকেলে বাড়ি ফিরে খাবার খেয়ে আবার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে বের হয়ে যায়। প্রায়ই সে নানা বাড়ি গিয়ে রাতে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে ফিরে না আসায় মা-বাবা ধরে নেয় যে সে নানাবাড়ি গেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হান্নান জানান, শুক্রবার সকালে স্কুলভবনের বাইরের টয়লেটে হাত-মুখ ধুতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পান নৈশপ্রহরী। বিবস্ত্র মরদেহের শরীরে কাদামাটি মাখানো ছিল। ওই প্রহরী পরে স্কুল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ছেলেটির বাবা এ ঘটনার পেছনে ছেলের এক বান্ধবীকে দায়ি করেছেন। তিনি বলেন, ‘মেয়েটাকে আমার সন্দেহ লাগে। মেয়েটা আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে অন্য ছেলেকে দিয়ে মেরেছে। তার সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক ছিল। ‘আমার ছেলের হত্যাকারীর সঠিক বিচার চাই। আমার ছেলেটাই আমার সম্বল ছিল। আমি কৃষক মানুষ, কষ্ট করে লেখাপড়া করাচ্ছিলাম ছেলেকে।’
নিহত কিশোরের মা বলেন, ‘কিছুদিন ধরে এক মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। ওই মেয়ের সঙ্গে সে ফোনে কথা বলত। আমার ছেলেকে যে মারল তার আমি সুক্ষ্ম বিচার চাই। আমার ছেলেকে মারল কে?’
স্কুলের পরিচালক চাঁন মিয়া জানান, নৈশপ্রহরীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের স্কুলের নিরাপত্তার জন্য নাইট গার্ড রেখেছি। কিন্তু নাইট গার্ডের কাছ থেকে আমরা জানলাম রাতে তিনি কোনো আওয়াজ পাননি। আজকে সকালে সে টয়লেটে লাশ দেখতে পেয়ে আমাদের জানান। পরে আমরা পুলিশকে জানাই।’
ঘটনাস্থলে থাকা ময়মনসিংহ সিআইডি ক্রাইমসিন ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, নিহতের শরীরের আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে কোনো আক্রোশ থেকে হত্যা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড