গেল মৌসুমে যেভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ, আর তাতে যেভাবে পারফর্ম করেছিলেন কারিম বেনজেমা, তাতে উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কারটা যে তার হাতেই উঠছে এ নিয়ে কোনো সন্দেহই ছিল না কারো। বর্ষসেরার পুরস্কারেও অভাবনীয় কিছু ঘটেনি। পুরস্কারটা তার হাতেই উঠেছে।
গোটা পুরস্কার বিতরণীতেই ছিল রিয়ালের রাজত্ব। কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তি জিতেছেন সেরা কোচের পুরস্কার। রিয়ালের রাজত্বে বার্সেলোনাও ভাগ বসিয়েছে বৈকি! সেরা নারী খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা জিতেছেন অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস।
কারিম বেনজেমার সঙ্গে থিবো কোর্তোয়া আর কেভিন ডি ব্রুইনাও ছিলেন উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায়। তবে বাকি দু’জন যে ধারেকাছেও যেতে পারবেন না বেনজেমার, বিষয়টা অনুমিতই ছিল। প্রথমবারের মতো পুরস্কারটা উঠেছে বেনজেমার হাতে। উঠবেই বা না কেন? চাপের মুহূর্তে করা তার একেকটা গোলই যে রিয়ালকে জিতিয়েছে লিগ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ডাবল! ফলে লা লিগায় ২৭ গোল আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৫ গোল করা বেনজেমাই জিতেছেন পুরস্কারটা।
রিয়ালের মেজর ডাবল জয়ে বড় ভূমিকা ছিল থিবো কোর্তোয়ারও। তবে ফুটবলে যেন ফরোয়ার্ডরা একটু বেশি লাইমলাইট কেড়ে নেন, বেনজেমাও নিলেন। তিনিই পেলেন উয়েফা বর্ষসেরার খেতাবটা।
রিয়ালকে দুই বড় শিরোপা জেতানো কার্লো অ্যানচেলত্তি হয়েছেন উয়েফা বর্ষসেরা কোচ। নারী কোচ হয়েছেন চেলসির সারিনা ভেইগমান।
এদিকে বেনজেমার মতো নারী বর্ষসেরার পুরস্কারটা যে অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াসের হাতে উঠছে, এই বিষয়টিও অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। গেল মৌসুমে যে বার্সেলোনা সব ম্যাচ জিতে লিগ জিতেছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উঠেছে ফাইনালে, তার একটা বড় অবদানই যে ছিল তার! সেই তিনি ছাড়া আর কে জিততেন বর্ষসেরার পুরস্কারটা? তিনিই জিতেছেন শেষমেশ বর্ষসেরার খেতাবটা। তাতে বার্সেলোনা কিছুটা হলেও ভাগ বসিয়েছে উয়েফা বর্ষসেরার মঞ্চে রিয়ালের রাজত্বে।
এক নজরে উয়েফা বর্ষসেরা
পুরুষ খেলোয়াড়
করিম বেনজেমা (ফ্রান্স ও রিয়াল মাদ্রিদ)
নারী খেলোয়াড়
আলেক্সিয়া পুতেয়াস (স্পেন ও বার্সেলোনা)
পুরুষ কোচ
কার্লো আনচেলত্তি (রিয়াল মাদ্রিদ)
নারী কোচ
সারিনা ভেইগমান (ইংল্যান্ড)
প্রেসিডেন্ট’স অ্যাওয়ার্ড (আজীবন সম্মাননা)
আরিগো সাচ্চি (ইতালি)