খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৩ মে, ২০২৪

Breaking News

আত্মবিশ্বাসী সাকিবকে দেখে আশাবাদী বিসিবি সভাপতি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টি-টোয়েন্টিতে খুব ভালো অবস্থা নয় বাংলাদেশের। শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ১০ ম্যাচে আটটিতেই হার। কিছুদিন আগে জিম্বাবুয়ের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে। সেই হারের ক্ষত এখনও দগদগে।

দল জয়ের ধারাবাহিকতায় না থাকার পাশাপাশি নিয়মিত একাদশের একাধিক ক্রিকেটার ইনজুরির কারণে বাইরে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের সামনে মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে এশিয়া কাপ। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান; যারা টি-টোয়েন্টি বেশ ভালো খেলে। তবুও এই দলে জয়ের বিশ্বাস ছড়িয়ে দিয়েছেন নেতৃত্বের ভার পাওয়া সাকিব আল হাসান।

নানা বিতর্কের পর সাকিবকে অধিনায়ক করার পেছনে বোর্ডের যুক্তি ছিল, অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা তিনি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টায় আছে। নিজে অনেক দিন খেলার বাইরে। তাই মাঠে ফিরেছেন সবার আগে। নিয়মিত অনুশীলনে বিগ হিটিং অনুশীলন করছেন। নতুন বলে আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করছেন। ফিটনেস নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি ফিল্ডিং অনুশীলনে ঝালিয়ে নিচ্ছেন। নিজের দল নিয়ে এশিয়া কাপে ভালো খেলতে উদগ্রীব সাকিব।

আত্মবিশ্বাসী সাকিবকে দেখে, তার সঙ্গে কথা বলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের মনে হয়েছে, বড় প্রতিযোগিতার আগে অধিনায়কের এমন মনোভাবই গুরুত্বপূর্ণ। বৃহস্পতিবার সাকিব, মুশফিকদের অনুশীলন দেখতে মিরপুরে হাজির হয়েছিলেন নাজমুল হাসান। মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘সাকিবের সঙ্গে নিয়মিতই কথা হয়। অনেকের সঙ্গেই কথা হয়, সোহান-লিটন দাসের সঙ্গেও। মোটামুটি সবার সঙ্গেই কথা বলি। আজকে জানতে চাচ্ছিলাম যে ওর (সাকিব) কী মনে হচ্ছে। একটা ব্যাপার দেখলাম, সাকিব আত্মবিশ্বাসী। ওর তো অবশ্য সবসময়ই আত্মবিশ্বাস থাকে। তবে এই মুহূর্তে বেশি জরুরি এটা থাকা।’

নাজমুল হাসান আরও বলেছেন, ‘জিততে পারবো, এই বিশ্বাসটা থাকতে হবে। খেলতে গেলাম… হারা-জেতা নিয়ে আমার কথা নেই। কিন্তু জিততে পারবো, এই বিশ্বাস খেলার মধ্যে থাকা জরুরি। এটা দেখতে পেরেছি, আমি খুশি। হার-জয় বড় কথা নয়, এবার ভালো খেলার চেষ্টা করবো।’

২০১৬ এবং ২০১৮ এশিয়া কাপের সবশেষ দুই আসরে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলেছিল। দুইবারই শিরোপা হারিয়েছিল ভারতের কাছে। এবার ফাইনাল যেতে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর সুপার ফোরে জায়গা করে নিতে হবে। সুপার ফোরে চার দল একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল যাবে ফাইনালে। কাজটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হলেও, অসম্ভব নয় মোটেও। ভারত বাদে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দলকেই টি-টোয়েন্টিতে হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের।

খুলনা গেজেট/এইচআরডি




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!