খুলনায় দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত কলেজ শিক্ষার্থী মো: আরিফুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে রাতে তার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় কোন মামলা বা কেউ এখনও পর্যন্ত আটক হয়নি।
আহত কলেজ শিক্ষার্থীর ফুফাতো ভাই মো: রিপন হাওলাদার বলেন, কলেজের এক সহপাঠিনীকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে আরিফ ও শুভর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সে সময়ই বিবাদের মিমাংসা হয়ে যায়। রোববার বিকেলে খালিশপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরিফ ও শুভ অবস্থান করে। সেখানে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে শ্রমিক নেতা মাহবুব হাসান শামীম উভয়ের মিমাংসা করে দেন। যে যার মতো চলে যায়। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মোবাইল ফোনে ডেকে তার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। আরিফকে ঠেকাতে গিয়ে মো: তপু আহত হয়। স্থানীয়রা তদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে গভীর রাতে আরিফকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়।
আরিফের ভাই সাইফুল ইসলাম খুলনা গেজেটকে বলেন, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিটে পৌছান তারা। ভাইয়ের ওপর এ হামলার বিচার চান তিনি। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থানের কারণে থানায় এখনও মামলা করা হয়নি। এসে মামলা করবেন বলে তিনি জানান।
খুলনা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা খবির আহমেদ বলেন, সন্ধ্যায় তপু ও আরিফ প্লাটফর্ম থেকে নেমে রেলের রাস্তা ধরে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়। কিছুক্ষণ পর চিৎকার শোনা যায়। রেল পুলিশ অগ্রসর হলে সেখান থেকে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। মেয়েলী ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি এলাকাবাসির মাধ্যমে শুনেছেন। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত রেলওয়ে থানায় এ ব্যাপারে কেউ মামলা করতে আসেনি।