লঘুচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে রামপাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকার চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে এবং ঘর বাড়িতে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে। এতে চিংড়ি ঘের মালিকদের ক্ষতিসহ ভোগান্তি বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার ভোজপাতিয়া ইউনিয়ন, বাঁশতলী ইউনিয়ন, পেড়িখালী ইউনিয়ন, রামপাল সদর ইউনিয়ন, হুড়কা ইউনিয়ন, রাজনগর ইউনিয়ন, বাইনতলা ইউনিয়ন ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের কয়েক শত মৎস্য ঘেরে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রায় দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিপুল পরিমাণ মাছ ভেসে গেছে। এছাড়াও বাড়ীঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। মানুষের চলাচলসহ দুর্ভোগ বেড়েছে।
ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ নূরুল আমিন বলেন, হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় অনেক ঘেরের ভেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে মাছ ভেসে গেছে। বিশেষ করে জিয়লমারী, বেতকাটা, চন্দ্রাখালী এলাকার সরকারি রাস্তা তলিয়ে গেছে। গৌরম্ভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাজীব সরদারের সাথে কথা হলে তিনিও একই কথা বলেন। কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা তারা তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারেননি।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাসের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, রামপাল সদর, রাজনগর, ভোজপাতিয়া, পেড়িখালী, বাঁশতলী, গৌরম্ভাসহ বেশ কিছু ইউনিয়নের প্রায় ৪/৫ শত ঘের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। আমরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করছি। এছাড়াও চাষিরা যাতে তাদের মাছ রক্ষা করতে পারেন সে জন্য তাদের পরামর্শ দেয়াসহ নেট পাটা দিয়ে ঘের আটকে রাখার জন্য বলা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও আমরা প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি।
খুলনা গেজেট / আ হ আ