জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে দাম আকাশ ছুঁয়েছে। সাধারণ ক্রেতা ও নিন্ম আয়ের মানুষেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আয়ের সাথে ব্যয়ের সঙ্গতি না থাকায় হিসাব মেলাতে পারছেন তারা। চাল, ডাল, ভোজ্য তেলের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধির ফলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
বাজার ঘুরে জানা যায়, সরু চাল থেকে মোটা চাল কেজিতে ৬ টাকা থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বেকারি সামগ্রী থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, আলু ৩৫, পটল ৪৫, কুমড়া ৪৫, চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা করে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিভিন্ন প্রকার সামুদ্রিক মাছ প্রকারভেদে কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেশী দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী মাছ রুই, কাতল, পার্সে, বেলে মাছসহ সব মাছের দাম বেড়েছে।
খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা জানান, উৎপাদন খরচ ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দাম বেড়েছে।
ব্যবসায়ী নূর ইসলাম বলেন, আমাদের মোকাম থেকে বেশী দামে পণ্য কিনে সমন্বয় করে বিক্রি করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন, সদরের দোকানি নজরুল ইসলাম।
ক্রেতারা বলেন, বাজারে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। কেউ রামপালের হাট বাজারগুলোতে মনিটরিং করেন বলে মনে হয় না। তারা সরকারের নজরদারির জোর দাবী জানান।
রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ সবুর রানা বলেন, সরকারের বাজার ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে। কোথাও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। নজরদারি নেই। একটা হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। এভাবে চললে নিন্ম আয়ের মানুষকে অভুক্ত থাকতে হবে। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বৃদ্ধি দাবী জানান, যাতে মানুষের ভোগান্তি কমে।
খুলনা গেজেট/এমএম