কমিশন বৃদ্ধি ও ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ডিপো থেকে জ্বালানি উত্তোলন ২৪ ঘন্টার জন্য বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকরা৷ ফলে খুলনাসহ ১৫ জেলায় ট্যাংকলরিতে তেল পরিবহন বন্ধ থাকবে।
রোববার (৭ আগস্ট) সকাল ৮ টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কমিশন বৃদ্ধি ও ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ডিপো থেকে জ্বালানি উত্তোলন ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকরা। ফলে খুলনাসহ ১৫ জেলায় ট্যাংকলরিতে তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। রোববার (০৭ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিম বলেন, ভাড়া ও কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে মালিক সমিতি ধর্মঘট ডেকেছে। তাদের সঙ্গে একমত হয়ে আমরাও ধর্মঘট পালন করছি। আজ সকাল ৮টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে ১৫ জেলায় তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এই ১৫ জেলার মধ্যে রয়েছে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর এবং গোপালগঞ্জ।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জ্বাদুল করিম কাবুল বলেন, কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে খুলনা বিভাগীয় কমিটি ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
জানা গেছে, আজ সকাল ৮টা থেকে আনুপাতিক হারে কমিশন বৃদ্ধি এবং ট্যাংকলরির ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও জ্বালানি তেলপাম্প মালিক সমিতি খুলনা বিভাগের কোনো ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন না করে ২৪ ধর্মঘট পালন করবে।
বর্তমানে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের মূল্যের (পূর্ব মূল্য) ২.৭১ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। অতীতে তারা কমিশন বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে (বিপিসি, জ্বালানি মন্ত্রণালয়) একাধিকবার আবেদন করেও কোনো ফলাফল পায়নি। জ্বালানি তেলের মূল্য বর্তমানে অনেক বৃদ্ধি পেলেও তাদের কমিশনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।
এ অবস্থায় তারা কমিশন প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্যের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রদানের দাবিতে ২৪ ঘণ্টা খুলনার পদ্মা-মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন করবে না বলে জানা যায়। এই সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে আরও কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।